চিয়াবীজ খেলে ওজন কমাতে সুবিধা হয়। এমন প্রায়ই বলে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। কিন্তু চিয়াবীজ কী ভাবে খাদ্যতালিকায় রাখবে। শুধু কি জলে ভিজিয়ে সকালে চিয়াবীজ খেলেই ওজন কমে যাবে। একেবারেই নয়। বদলে সকাল বিকেলের খাবারে এমন ভাবে চিয়াবীজ রাখুন, যাতে একটি খাবার অল্প খেলেই পেট ভরে থাকে দীর্ঘ ক্ষণ। এটি পরোক্ষে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। তেমনই দুই খাবারের সন্ধান রইল।
দই চিয়ার পুডিং
উপকরণ: ১/২ কাপ দই১ টেবিল চামচ চিয়া বীজ জলে ভেজানো, ১/৪ কাপ আপেল কুচি, ১ টেবিল চামচ কুচি করে কাটা বাদাম বা আখরোট।
কীভাবে তৈরি করবেন: একটি গ্লাস বা বাটিতে, দই, চিয়া বীজ, আপেল এবং কুচি করে কাটা বাদামের এক একটি স্তর তৈরি করুন। ১০-১৫ মিনিটের জন্য বসতে দিন যাতে চিয়া বীজ ফুলে ওঠে এবং দই কিছুটা ঘন হয়ে যায়। তার পরে খান।
স্বাস্থ্যকর কেন: দইয়ে আছে প্রোবায়োটিক এবং প্রোটিন। তার সঙ্গে চিয়া বীজ এবং বাদামের স্বাস্থ্যকর ফ্যাট মিশছে। থাকছে ফাইবারও। যা একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে পেট যেমন অনেকক্ষণ ভরে থাকে। তেমনই শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টিও যায়। প্রোটিনে ভরপুর এই খাবারে শর্করার ভাগও কম থাকে।
চিয়া দিয়ে স্ক্র্যাম্বলড এগ
উপকরণ: ১ চা চামচ চিয়া বীজ জলে ভেজানো, ২টি ডিম (অথবা ডিমের সাদা অংশ), ১/২ কাপ কুঁচি করে কাটা সব্জি (পালং শাক, ক্যাপসিকাম, মাশরুম ইত্যাদি), এক চিমটে নুন এবং গোলমরিচ।
কীভাবে তৈরি করবেন: একটি পাত্রে, চিয়া বীজ, নুন এবং গোলমরিচ দিয়ে ডিম ফেটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ৫-১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন যাতে চিয়া বীজ তরলটি কিছুটা শোষণ করতে পারে। এ বার একটি নন-স্টিক প্যানে তেল দিয়ে সবজিগুলি ভাজুন তার উপর ডিমের মিশ্রণটি ঢেলে দিন। বাকি প্রক্রিয়া হবে স্ক্র্যাম্বলড এগ বানানোর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মতোই।
কেন স্বাস্থ্যকর: এই খাবারটিও শরীরকে প্রয়োজনীয় ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবারের জোগান দেয়। যা পেট ভরিয়ে রাখে এবং শর্করার মাত্রাও কমানো যায়।