দুর্গাপুজো হোক বা শুভানুষ্ঠান— শেষপাতে মিষ্টিমুখ করতেই হবে। সেই তালিকায় থাকে পায়েস। শুক্তো হোক কোর্মা— একটুখানি খাঁটি দুধ মিশলেই স্বাদ বদলায় নিমেষে।
পায়েসই হোক বা নোনতা পদ— রান্নায় স্বাদ আনতে হলে দুধ হতে হবে খাঁটি। কিন্তু চাল থেকে ডাল, সবেতেই যখন ভেজাল, দুধই বা বাদ যায় কী করে?
রাঁধার আগে সহজ পরীক্ষায় বুঝে নিন, দুধে ভেজাল আছে কি না?
ঘনত্ব পরীক্ষা
একটি পরিষ্কার স্টিলের থালা হেলিয়ে ধরুন। চামচে করে সামান্য একটু দুধ থালায় ঢালুন। যদি দ্রুত গড়িয়ে যায় বুঝতে হবে, জল মেশানো হয়েছে। খাঁটি দুধ ধীরে ধীরে গড়াবে, সাদা দাগ থাকবে।
দুধ খাঁটি কি না বুঝে নিন সহজ পরীক্ষায়। ছবি: ফ্রিপিক।
দুধে থাকা প্রোটিন এবং ফ্যাটের জন্য তা ঘন হয়। জল মেশালে তা পাতলা হয়ে যায়। পাতলা হলে তা দ্রুত গড়িয়ে যাবে, দুধের সাদা দাগও হালকা হয়ে যাবে।
স্টার্চ পরীক্ষা
কখনও দুধ ঘন করার জন্য চাল বা আলুর স্টার্চও মেশানো হয়। এগুলি খেলে পেটের ক্ষতি হতে পারে। হজমেও সমস্যা হতে পারে। দুধ ঘন মনে হলেও কিন্তু ভেজাল থাকে। পরীক্ষার জন্য একটি বাটিতে অল্প দুধ সরিয়ে রাখুন। ঘরের তাপমাত্রায় রাখা দুধে ২-৩ ফোঁটা আয়োডিন মেশান। কিছু ক্ষণের মধ্যে বর্ণ বদলে নীলচে হলে বুঝতে হবে, ভেজাল আছে। খাঁটি দুধের রং একই থাকবে।
সাবানগুঁড়োও কি মেশে?
বাজার থেকে কিনে আনা দুধে সাবানগুঁড়ো মেশানোরও অভিযোগ ওঠে কখনও কখনও। প্যাকেট থেকে অল্প কিছুটা দুধ একটা বোতলে নিন। এ বার বোতলটা জোরে জোরে ঝাঁকান। যদি দেখেন ফেনা উঠছে, তা হলে বুঝতে হবে, দুধে ডিটারজেন্ট বা সাবানগুঁড়ো মেশানো আছে। আর যদি দেখেন, ঝাঁকানোর পরেও ফেনা উঠছে না, তা হলে বুঝতে হবে তাতে ভেজাল নেই। দুধে প্রোটিন থাকে বলে তা ঝাঁকালে ফেনা হয়। তবু খুব বেশি নয়। তা ছাড়া সেই ফেনা দ্রুত থিতিয়েও যায়।