সুস্থ থাকতে নিয়মিত অনেকেই হাঁটেন। কিন্তু শুধু হাঁটলেই চলবে না, প্রয়োজন সুরক্ষার। অন্যথায় পায়ে চোট লাগার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। পায়ের পাতা ও অস্থিসন্ধিকে সুরক্ষিত রাখতে কয়েকটি জিনিস ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
১) হাঁটতে হলে সবার আগে ভাল জুতো চাই। চটি, চপ্পল বা ফ্লিপ-ফ্লপ পরে অনেকেই হাঁটেন। কিন্তু তার ফলে পায়ে ব্যথা হয়। হাঁটার জন্য তৈরি বিশেষ জুতো ব্যবহার করা উচিত। তার ফলে পা সুরক্ষিত থাকবে। চোট আঘাতের সম্ভাবনা কমবে। হাঁটার জুতো ব্যবহার করলে দেহের ভারসাম্যও বজায় থাকে।
২) শুধু জুতো পরে হাঁটা উচিত নয়। পা যাতে না ঘামে, তার জন্য ভাল মোজা ব্যবহার করা উচিত। ঋতুভেদে মোজার ধরন বদলে যেতে পারে। কিন্তু হাঁটার সময়ে সাধারণত সুতির মোজা পরলে সুবিধা হবে। পা বেশি ঘামবে না।
৩) বয়স্কদের ক্ষেত্রে হাঁটার সময়ে পায়ের পাতা এবং হাঁটু সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন। আর সে ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে জয়েন্ট সাপোর্ট ব্যান্ড। পায়ের পাতা বা হাঁটুর জন্য (নি ক্যাপ) এই ধরনের ব্যান্ড পাওয়া যা। তার ফলে বেশি ক্ষণ হাঁটলে অস্থিসন্ধিতে চাপ তৈরি হবে না।
৪) শুধু হাঁটলেই হবে না, হাঁটার সময়ে দেহের ভঙ্গি কী ভাবে থাকছে, তা-ও গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকদের মতে, হাঁটার সময় দেহ সামনের দিকে ঝুঁকলে চলবে না। দুই কাঁধ যেন সোজা থাকে। দৃষ্টি থাকবে সামনে দিকে। অনেকেই মোবাইল দেখতে দেখতে হাঁটেন। এই অভ্যাস না করাই ভাল। তার ফলে কাঁধ এবং ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।
৫) দিনের মধ্যে কতটা দূরত্ব হাঁটা গেল বা কত পা— তা জানা থাকলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে সুবিধা হবে। অনেক সময়ে সারা সপ্তাহের ফলাফল মনকে আরও অুপ্রাণিত করে। ফলে হাঁটার অভ্যাসে সহজে ছেদ পড়ে না। আর হাঁটা সম্পর্তিক যাবতীয় তথ্য সহজেই একটি স্মার্ট ওয়াচ থেকে জানা যায়। তাই এই ধরনের ঘড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে।