Advertisement
E-Paper

শীতে যথেষ্ট জল খাওয়া হচ্ছে না? ছোটখাটো কয়েকটি শারীরিক লক্ষণ থেকেই তা বুঝে নিতে পারবেন

শীতে জল তেষ্টা কম পায়। গলা ভেজানোর ইচ্ছে হয় না গরম কালের মতো। ফলে যাঁদের তেষ্টা পেলে জল খাওয়ার অভ্যাস, তাঁদের জল খাওয়ার পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। অথচ জল যে কম খাওয়া হচ্ছে তা বুঝতে পারেন না তাঁরা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:০৩
জিভ অত্যন্ত শুকিয়ে যাওয়া, জিভে সাদা ভাবও দেখা দিতে পারে শরীরে জলাভাব হলে।

জিভ অত্যন্ত শুকিয়ে যাওয়া, জিভে সাদা ভাবও দেখা দিতে পারে শরীরে জলাভাব হলে। ছবি : সংগৃহীত।

সারা দিনে বেশ কয়েক গ্লাস জল খান। কিন্তু সুস্থ থাকার জন্য কি সেটুকুই যথেষ্ট? নানা সংকেতে এ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয় শরীরই। ছোট ছোট উপসর্গে বুঝিয়ে দেয় শরীরের আরও বেশি পরিমাণ জল খাওয়ার দরকার রয়েছে কি না।

বিশেষ করে শীতকালে এই উপসর্গগুলিতে নজর দেওয়া দরকার। কারণ, এই ঋতুতে জল তেষ্টা কম পায়। গলা ভেজানোর ইচ্ছে হয় না গরম কালের মতো। ফলে যাঁদের তেষ্টা পেলে জল খাওয়ার অভ্যাস, তাঁদের জল খাওয়ার পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। অথচ জল যে কম খাওয়া হচ্ছে তা বুঝতে পারেন না তাঁরা। সমস্যা হয় তখন, যখন এ ভাবে জল কম খেতে খেতে শরীরের আর্দ্র ভাব অনেকটা কমে যায়। সেই সময় ডিহাইড্রেশন থেকে নানা ধরনের সমস্যা হয়। যেমন— নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মনযোগের অভাব, অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় সর্দি-কাশির সমস্যা এমনকি, হজমের সমস্যাও হতে পারে।

কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন শরীরে জলাভাব হচ্ছে?

১। এ প্রশ্নের উত্তর শৌচাগার থেকেই পাওয়া সম্ভব। জল কম খেলে শরীরে যেটুকু জল রয়েছে তা কিডনি ধরে রাখতে চাইবে। ফলে প্রস্রাব কম হবে বা প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ বা খয়েরি হয়ে যাবে। এমন হলে অবশ্যই জল খাওয়ার পরিমাণ কয়েক গ্লাস বাড়িয়ে নিন।

২। জিভ শুকিয়ে যাওয়া, গলা শুকিয়ে যাওয়া, জিভে শুষ্ক ভাব, সাদাটে ভাব এবং জিভে সংক্রমণ হওয়াও শরীরে আর্দ্রতা কমে যাওয়ার লক্ষণ। এমন হতে দেখলে জল খান বেশি করে।

৩। মাথা ধরা, মাথা ঘোরা, মাথা দপদপ করা— এই সব কিছু হতে পারে শরীরে আর্দ্রতা কমে যাওয়ার কারণে। কারণ শরীরে জলাভাব হলে কোষে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। ফলে অক্সিজেন পৌঁছোয় না। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব হলে তা থেকে মাথা ঘোরা, মাথা ধরার মতো সমস্যা হতে পারে। ক্লান্তিবোধও আসতে পারে। মনে হতে পারে অতিরিক্ত কাজ বা কম ঘুমের জন্য এমন হচ্ছে। কিন্তু আদতে আপনার মস্তিষ্ক জল চাইছে।

৪। ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া, ঠোঁট থেকে ছাল ওঠার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে শরীরে জলাভাব হলে। শীতে এমন হলে ঠা্ন্ডায় ঠোঁট ফাটছে বলে মনে হতে পারে। কেউ কেউ সমস্যা কমাতে হয়তো ঠোঁটে লিপ বাম বা লোশন ব্যবহার করবেন। কিন্তু আসল সমাধান মিলবে বেশি পরিমাণে জল খেলে।

৫। হাতে এবং পায়ের পেশিতে ব্যথা অথবা টান ধরে শরীরে জলাভাব হলে। কারণ পেশির স্বাস্থ্যের জন্য যে দরকার হয় ইলেক্ট্রোলাইট। আর সারা দিন যদি হাঁটা-চলা বা নানা কাজের মধ্যে থাকেন, তবে এই ইলেক্ট্রোলাইটের দরকার হয় বেশি। জল না খেলে পেশিতে ব্যথা হতে পারে।

৬। শরীরে জলাভাব হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা প্রভাব ফেলতে পারে হজমেও।

৭। কাজে মন দিতে না পারা, ভাবনা চিন্তা করার ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যাওয়ার সমস্যাও তৈরি হতে পারে জলাভাব হলে। এর নেপথ্য কারণও মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পৌঁছোনো।

Dehydration dehydration signs
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy