Advertisement
E-Paper

৬ মাসের মধ্যে কতটা ওজন কমানো নিরাপদ? খুব তাড়াতাড়ি ফল পেতে চাইলে হিতে বিপরীতও হতে পারে

দ্রুত ওজন কমাতে গেলে তা ক্ষণস্থায়ী হবে এবং শরীরে পুষ্টির ঘাটতিও ঘটবে। বরং ওজন কমানো উচিত ধীর গতিতে। এতে সব দিকই রক্ষা হবে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ১০:০২
A safe and realistic weight loss goal for six months

এক মাসে কতটা ওজন কমানো স্বাস্থ্যকর, হিসেবটা ঠিক কেমন? ছবি: এআই।

খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে চান। সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোনোর আগে জেনে নেওয়া জরুরি, ওজন কী ভাবে ও কত দিনে কমাবেন। হুড়মুড়িয়ে ওজন কমছে মানেই তা স্বাস্থ্যকর নয়। এতে আপনার মুখে হাসি ফুটবে ঠিকই, তবে শরীর বেহাল হয়ে যাবে কিছু দিনেই। দ্রুত ওজন কমাতে গেলে তা ক্ষণস্থায়ী হবে এবং শরীরে পুষ্টির ঘাটতিও ঘটবে। বরং ওজন কমানো উচিত ধীর গতিতে। এতে সব দিকই রক্ষা হবে।

মাসের হিসেবে কতটা করে ওজন কমানো নিরাপদ

সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) –এর তথ্য বলছে, প্রতি সপ্তাহে ১ কেজি বা ৫০০ গ্রাম করে ওজন কমলে তা স্বাস্থ্যকর। সেই হিসেবে এক মাসে ৪-৫ কেজি ওজন কমতেই পারে। তবে তা নির্ভর করবে শারীরিক অবস্থার উপরেও। উচ্চতা, অসুখবিসুখের ইতিহাস ইত্যাদি মাথায় রেখে মাসে যদি ২ থেকে ৪ কেজিও কমে, তা হলেও সেটি ভাল। তবে তার বেশি নয়।

হার্ভার্ড স্কুল হেল্‌থ অ্যাণ্ড মেডিসিন এই বিষয়ে আরও একটি তথ্য দিয়েছে। শুরুতে যা ওজন ছিল, ৬ মাসের মধ্যে তার ৫ থেকে ১০ শতাংশ কমানোই উচিত। যদি কারও ওজন ৯০ কেজি হয় এবং ৬ মাসের মধ্যে তিনি ৯ থেকে ১০ কেজি কমাতে পারেন, তা হলে সেটি স্বাস্থ্যকরই হবে। আসলে, প্রথম এক থেকে দুই সপ্তাহে ওজন খুব তাড়াতাড়ি কমে। নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করলে এবং শরীরচর্চায় ফাঁকি না দিলে, এক মাসের মধ্যে ওজন খুব তাড়াতাড়ি ঝরে যায়। তবে এর পর থেকে বিষয়টি কঠিন হয়। বাড়তি ক্যালোরি ঝরিয়ে শরীরে জমা মেদ পোড়াতে বেশ ভালই কসরত করতে হয়। তাই সে দিক থেকে ৬ মাসে ১০ কেজি কমিয়ে ফেলা মোটেও সহজ কাজ নয়।

ওজন কমানোর মূল মন্ত্র

ওজন কমাতে গেলে কিছু জিনিস খেয়াল করতে হবে, বিএমআই এবং বিআরআই। বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই যেমন উচ্চতার সঙ্গে ওজনের নুপাত, বিআরআই হল উচ্চতার সঙ্গে কোমর-নিতম্বের মাপজোকের অনুপাত। ধরুন, যাঁর উচ্চতা ৬ ফুট, তাঁর ওজন যা হবে, যাঁর উচ্চতা ৫ ফুট, তাঁর ওজন আলাদা হবেই। এ বার ৫ ফুটের ব্যক্তি যদি আড়ে-বহরে বেজায় স্থূল হন, কোমরে স্তরে স্তরে চর্বি থাকে, তা হলে তো তার ওজন বেশি হবেই। তখন হয়তো দেখা যাবে, দু’জনেরই বিএমআই এক। তফাত শুধু, এক জনের উচ্চতা বেশি, আর এক জনের কোমরের বেড়। তাই সেই হিসেবে রোগা হওয়ার সময়টাও জরুরি। ফ্যাট দু’রকমের হয়— পেশির এবং মেদের। যিনি পেশিবহুল, তাঁর ওজন বেশি হলেও কিন্তু তিনি মোটা নন। আবার যাঁর পেটে থলথলে চর্বি রয়েছে, তাঁর ওজন কিন্তু শুধু মেদের জন্য। কাজেই দু’রকম ব্যক্তিই যদি ওজন কমাতে চান, তা হলে তাঁদের ডায়েট, শরীরচর্চার পদ্ধতি আলাদা হবেই। তাই কে কত দিনে রোগা হবেন, তার হিসেব একজন প্রশিক্ষকই দিতে পারেন। কাজেই ওজন কমাতে হলে শুধু হিসেব দেখলে হবে না, নিয়ম মানাও জরুরি। তাই চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ এবং অবশ্যই ফিটনেস প্রশিক্ষকের পরামর্শ মানতে হবে।

Weight Loss Tips Belly Fat Weight Management
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy