অভিনেতা অলী গোনীর কাছে ওজন কমানোর অর্থ কেবল সংখ্যাহ্রাস নয়। দেহের আকারে সমতা আনা, পেশি মজবুত করা, গোটা শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখা নিয়ে যত্নবান তিনি। সম্প্রতি ‘লাফটার শেফস ৩’ শো–এর শুটিংয়ের মাঝেই আলি জানান, নিজের খাদ্যাভ্যাস পাল্টে ফেলেছেন তিনি। এখন তাঁর খাবারের তালিকায় মাপঝোঁক, নিয়ন্ত্রণ আর সচেতনতা, মিশে আছে সবই। আপনিও যদি ছিপছিপে হওয়ার পাশাপাশি পেশিবহুল শরীর চান, তা হলে অলীর খাদ্যাভ্যাসে চোখ রাখতে পারেন।
ওজন ঝরিয়ে স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে সাম্প্রতিক এক দুর্ঘটনা। পায়ে চোট লেগে বহু দিন শয্যাশায়ী ছিলেন অলী। মুম্বইয়ের টেলি তারকা নিজের ভ্লগে বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আমার দু’পা আর হাঁটু ভেঙে গিয়েছিল। তার পরই আমার ওজন বেড়ে যায়। খুবই শোচনীয় অবস্থা হয়েছিল। শারীরিক ভাবেও নানা জটিলতা দেখা দেয়। তবে এখন আমি ইতিমধ্যে ৭-৯ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফেলেছি।’’ কিন্তু আরও ওজন ঝরিয়ে পেশি মজবুত করার পথে চলেছেন অলী। তার জন্য ফিটনেস প্রশিক্ষক প্রদত্ত খাদ্যতালিকা অনুসরণ করে চলেছেন তিনি।
পায়ে চোট লাগার পর ওজন বেড়ে গিয়েছিল অলীর। ছবি: সংগৃহীত।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কী খেয়ে থাকেন অলী?
সকাল: দিন শুরু হয় এক কাপ কালো কফি দিয়ে। তার পর থাকে অ্যাভোকাডো আর ৫-৬টি সেদ্ধ ডিম। দু’টিই শরীরকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আর প্রোটিনের জোগান দেয়। সঙ্গে থাকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট। দেরিতে ঘুম ভাঙলেও তালিকা থেকে বিচ্যুতি ঘটে না অলীর।
দুপুর: এয়ার ফ্রাই করা মুরগির মাংস, সঙ্গে বাটিভর্তি সব্জি, রাজমা ডাল আর সামান্য শিরাতাকি রাইস (কম ক্যালোরিযুক্ত ভাত)। সঙ্গে থাকে দই। নিজের বাটির মধ্যে ভাত, ডাল, তরকারি আর দই মিশিয়ে চিকেনের সঙ্গে খেয়ে নেন অলী।
বিকেল: মধ্যাহ্ন ভোজনের পর ঘণ্টা খানেক বিশ্রাম নেওয়ার পর জিমে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হয় অলীকে। শরীরচর্চার আগে আবার কালো কফি আর প্রোটিন শেক পান করেন তিনি। এতে শরীরের ক্লান্তি কমে, পেশিও সুগঠিত হয়।
রাত: রাতে থাকে হালকা খাবার। স্যুপের সঙ্গে সব্জি দিয়ে তৈরি করা মুরগির মাংস বা মাছ।
এক ধাপে ছিপছিপে শরীর পাওয়ার জন্য ছুটছেন না অলী, বরং নিয়মানুবর্তিতা আর ধৈর্যকে সঙ্গী করে এগিয়ে চলেছেন। যেখানে তাঁর উদ্দেশ্য, সুস্থ যাপনে ফেরা।