অভিনেত্রী হিসাবে প্রথম বার আবির্ভূত হওয়ার আগে ৩৫ কিলোগ্রাম ওজন কমিয়েছিলেন সোনম কপূর। তার পর সন্তান জন্ম দেওয়ার পর ২০ কিলোগ্রাম ওজন ঝরিয়েছেন তিনি। প্রত্যেক বারই তাঁর একমাত্র অস্ত্র ছিল স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া। সদ্য ৪০ বছর পা দিলেন অনিল কপূরের কন্যা। কী ভাবে নিজেকে সুস্থ রাখেন অভিনেত্রী? নিজেই ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে জীবনের খুঁটিনাটির কথা জানালেন। সেখানেই প্রকাশ পেল নায়িকার অন্দরমহলের ঝলকও। রান্নাঘর এবং ব্যক্তিগত রন্ধনশিল্পীদের কাজের জায়গায় দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন তিনি। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কী কী খান সোনম?
কী খাবার খেয়ে ফিট থাকেন সোনম? ছবি: সংগৃহীত।
সকাল ৬টায়: হালকা গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে পান করেন সোনম। অর্থাৎ, দিন শুরু হয় ভিটামিন সি দিয়ে।
সকাল ৬:৪৫: কোলাজেন মিশ্রিত কফি পান করেন ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে। চকোলেট দেওয়া এই কফি তিনি নিজে হাতেই বানিয়ে নেন। কোলাজেন গ্রহণের ফলে ত্বের ঔজ্জ্বল্য বজায় থাকে। তখনই জলে ভেজানো কয়েকটি আমন্ড আর ব্রাজ়িলিয়ান বাদাম খান সোনম।
সকাল ৯:৪৫: প্রাতরাশে অ্যাভোকাডো দেওয়া টোস্ট আর ডিমের পোচ বা অমলেট খাওয়ার অভ্যাস সোনমের। তখন মিটিং থাকুক বা অন্য কোনও কাজ, জলখাবার বাদ যায় না কখনও।
আরও পড়ুন:
দুপুর ১:৪৫: মধ্যাহ্নভোজনে ব্যক্তিগত রন্ধনশিল্পীরা স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু পাস্তা বানিয়ে দেন সোনমকে। মূলত টম্যাটো দিয়ে বানানো চিকেন অ্যারাববিয়াটা পাস্তা খান তিনি। দুপুরে সোনমের পাতে থাকে প্রোটিন-নির্ভর খাবার।
বিকেল ৫:১৫: বিকেলেই নৈশভোজ সেরে নেন অভিনেত্রী। ফের টোস্ট, আর তার উপর মুরগির মাংসের পুর দিয়ে পেট ভরান সোনম। স্বামী আনন্দ আহুজার সঙ্গে নৈশভোজ সারেন তিনি। টেবিলে থাকে ইয়োগার্ট। পাশে স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি। পছন্দ মতো ইয়োগার্ট বানিয়ে খেয়ে নেন তারকা দম্পতি।
সন্ধ্যা ৭টা: সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এক কাপ ভর্তি স্যুপ খেয়ে খিদে মিটিয়ে নেন সোনম। ফলে রাতে আর খালি পেট থাকে না। কাজে বেরোলে সেই স্যুপ সঙ্গে নিয়ে নেন তিনি।