খেতে খুবই ভালবাসেন। খাওয়া নিয়ে অত খুঁতখুতে নন তিনি। তবে ছিপছিপে গড়ন ধরে রাখতে মেপে তো খেতেই হয়। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দারি জানিয়েছেন, তিনি যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার খান, তেমনই আবার পছন্দের খাবার খেতেও দ্বিধা করেন না। সকাল ও দুপুরে হালকা খেলে, রাতে মুখরোচক কিছু খেতেই ভাল লাগে তাঁর। তবে সব খেয়েও তাঁর ওজন বাড়ে না। কারণ নিয়মিত শরীরচর্চা এবং রাতের খাওয়া একটি নির্দিষ্ট সময়েই সেরে ফেলেন অদিতি।
সদ্য বিয়ে করে নতুন জীবনে পা রেখেছেন। অভিনেতা সিদ্ধার্থের সঙ্গে জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করেছেন। জমিয়ে সংসার করার পাশাপাশি শুটিংও করছেন। পর্দায় সুন্দর দেখানোর জন্য ফিটনেস জরুরি, বলেছেন অদিতি। সে জন্য নিয়মিত যোগব্যায়াম করেন। নাচও চর্চা করেন। তবে রোজ একই ধরনের ব্যায়াম করেন না। প্রতি দিনের শরীরচর্চায় নানা রকম যোগাসন, অ্যারোবিক্স ঘুরিয়েফিরিয়ে করেন। এতে একঘেয়েমি আসে না বলেই দাবি অভিনেত্রীর।
আরও পড়ুন:
খাওয়ার ব্যাপারে তিনি বেশ উদারই। ভাজাভুজি, মিষ্টি সবই ভাল লাগে। স্ট্রিট ফুডও পছন্দ করেন। তবে সারা দিনের খাওয়া মেপেই খান। সকালের জলখাবারে পছন্দ দক্ষিণ ভারতীয় খাবার। ইডলি, দোসা দিয়েই বেশির ভাগ সময়ে প্রাতরাশ সারেন। দুপুরের খাওয়া হালকাই খান। কিনোয়ার খিচুড়ি, ভাত-ডাল-সব্জি পছন্দ। বিকেলের স্ন্যাক্সে রোস্টেড মাখানা খান বেশির ভাগ সময়ে। রাতে স্যুপ, মাছের ঝোল, চিকেন কবাব অথবা চিকেন কাটলেট, মাঝেমধ্যে নিহারিও খান। যে দিন যা ভাল লাগে, খেয়ে নেন। অদিতি জানিয়েছেন, খিদে পেলে মনের কথাই শোনেন তিনি। রাতে চিকেন কাটলেট বা কবাব যতটা মন চায় খান। ইচ্ছা হলে ফুচকা বা চকোলেটও খেয়ে ফেলেন। তবে রাতের খাওয়া সন্ধ্যা গড়ানোর আগেই সেরে নেন। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টাই তাঁর সময়, এর পরে আর কোনও কিছুই দাঁতে কাটেন না।
অদিতির খাওয়ার অভ্যাস নিয়ে তাঁর পুষ্টিবিদ গরিমা গোয়েলের মত, রাতের খাবার খাওয়ার সময় হল সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টা। কিন্তু, সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে নৈশভোজ সেরে ফেলা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই চেষ্টা করতে হবে রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে রাতের খাওয়া যাতে শেষ করা যায়। ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে। কেউ যদি ১১টায় ঘুমোতে যান, তাঁকে ৮টায় খেয়ে নিতে হবে। রাতে যদি মুখরোচক বা ভারী খাবার খান, তা হলে সন্ধ্যার মধ্যে সেরে ফেলাই ভাল। এতে হজম দ্রুত হবে, বেশি ক্যালোরিও জমবে না শরীরে। খাবারের সঙ্গে জল না খেয়ে যদি ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত অল্প অল্প করে জল খেতে থাকেন, তা হলে ক্ষতি কম হবে। ঘুমের সমস্যাও হবে না।