জলে ভেসে ভেসে সঙ্গম কি স্বাস্থ্যকর? ছবি- সংগৃহীত
জলের তলায় সঙ্গমরত যুগল। এমন দৃশ্য নীল ছবিতে বহু বার দেখেছেন। সেই সময় থেকেই সুপ্ত বাসনা ছিল প্রিয় মানুষটিকে এমন ভাবে কাছে পাওয়ার। তা নিয়ে স্বপনে-শয়নে নানা রকম মুহূর্ত কল্পনাও করতেন। কিন্তু এত কাল পর যখন সেই বিশেষ মুহূর্ত এল, এত দিন ধরে দেখা সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ছবিতে যা দেখেন, তার সঙ্গে বাস্তবে আকাশ-পাতাল ফারাক থাকবে, এমনটা ধরে নিয়েই এগোনো ভাল। আর জলের তলায় সঙ্গম করা কিন্তু যথেষ্ট ভয়েরও। শুধু সংক্রমণ নয়, লাগতে পারে যৌনাঙ্গে আঘাতও।
স্নানের সময়ে সঙ্গম করলে ক্ষতি হবে কেন?
১) প্রাকৃতিক ‘লুব্রিকেন্ট’ ধুয়ে যায়
উত্তেজনায় নারী এবং পুরুষ উভয়ের যৌনাঙ্গ থেকে স্বাভাবিক ভাবেই এক প্রকার পিচ্ছিল পদার্থ নির্গত হয়। যা সঙ্গমের সময়ে প্রাকৃতিক ‘লুব্রিকেন্ট’-এর কাজ করে। মিলনের সময় আঘাত লাগার হাত থেকেও রক্ষা করে। শাওয়ার, সুইমিং পুল বা বাথটবে সঙ্গম করলে সেই জলে এই পিচ্ছিলকারক পদার্থ ধুয়ে যায়। ফলে সঙ্গমের সময়ে যৌনাঙ্গ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। সঙ্গমকালে ব্যথাও হয়।
২) সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে
ব্যক্তিগত পুল না হলে সেখানে একাধিক মানুষ স্নান করতে নামেন। ফলে সঙ্গমের সময় সেখান থেকে কোনও জীবাণু শরীরে প্রবেশ করতেই পারে। অন্য দিকে, বাথটবের মধ্যে বা শাওয়ারের তলায় সঙ্গম করলে একই ভাবে সঙ্গীর শরীর থেকে জলবাহিত হয়ে সহজেই জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে।
৩) আঘাত লাগতে পারে
জলের তলায় দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে আসে। সঙ্গম করতে গেলে আঘাত লাগার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ ছাড়া, শাওয়ারের তলায় বা বাথটবের মধ্যে পিছলে পড়েও যেতে পারেন, তাই সাবধান।
৪) জল থেকে সংক্রমণ
ব্যক্তিগত পুল না হলে তাতে অনেকেই স্নান করতে নামতে পারেন। সেখান থেকে রোগ-জীবাণু সহজেই জলবাহিত হয়ে অন্যের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এ ছাড়া জল পরিশোধন করতে ক্লোরিন নামক একটি যৌগ মেশানো হয়। যা আদতে ব্লিচিং জাতীয় একটি পদার্থ। যৌনাঙ্গের মতো স্পর্শকাতর অংশে এই পদার্থ লাগলে সেখান থেকেও সংক্রমণ হতে পারে।
৫) কন্ডোম নষ্ট হতে পারে
জলে থাকা ক্লোরিনের সংস্পর্শে কন্ডোমের পাতলা আবরণ ছিঁড়ে যেতে পারে। অসুরক্ষিত যৌনসংসর্গের ফলে অবাঞ্ছিত গর্ভাধান বা যৌনরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy