ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করছেন। কিন্তু ততে কাজ হচ্ছে কি?
ওজন কমাতে গেলে প্রয়োজন ক্যালোরির ঘাটতি তৈরি করা। অর্থাৎ দৈনন্দিন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপের প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান রেখে বাড়তি ক্যালোরি জমতে না দেওয়া। অতিরিক্ত ক্যালোরি খরচ করে ফেলা।
দৈনন্দিন ওঠা, হাঁটা-সহ নানা কাজে যদি ১২০০ কিলো ক্যালোরির প্রয়োজন হয়, কেউ ১৫০০ কিলোক্যালোরি খাবার খান, ৩০০ কিলোক্যালোরি শরীরে জমবে। কিন্তু যদি শরীরচর্চা করেন, আরও ৫০০ কিলোক্যালোরি খরচ করে ফেলেন তা হলে কিন্তু শরীরে ক্যালোরির ঘাটতি তৈরি হবে। ওজন কমানোর জন্য এই ঘাটতি তৈরি করা খুব জরুরি।
আরও পড়ুন:
সমাজমাধ্যম প্রভাবী ফিটনেস কোচ ড্যানিয়েল শোয়েনফেল্ড বিভিন্ন সময়ে ইনস্টাগ্রামে ওজন কমানো সংক্রান্ত জরুরি পরামর্শ দেন। তিনি জানাচ্ছেন, ক্যালোরির ঘাটতি তৈরির জন্য খাওয়া একেবারে কমিয়ে দেওয়া কাজের নয়।এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। বরং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে এই ঘাটতি হওয়া দরকার। কিন্তু কেউ যে কাঙ্খিত লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছেন, তা বোঝা যাবে কী করে?
শুধু ওজন নয়, মেদও গলবে: শুধু ওজন কমলেই হবে না, মেদ গলছে কি? আটোসাঁটো পোশাক কি আলগা হচ্ছে? তা দেখতে হবে। কোমর, তলপেটের মেদ গললে, পেশি সবল হলে বুঝতে হবে, ক্যালোরির ঘাটতি ঠিকমতো হয়েছে।
খিদে: খিদে পেলেও কখনও মনে হবে না, একসঙ্গে অনেক পরিমাণে খাওয়া দরকার, বা খেয়ে ফেলতে পারেবন। ক্যালোরির ঘাটতির প্রক্রিয়া চলতে থাকলে খিদেতেও নিয়ন্ত্রণ আসবে।
শক্তি: ওজন কমলেও কোনও কাজে ক্লান্তি আসবে না। ওজন কমাতে গিয়ে দুর্বলবোধ হলে বুঝতে হবে পুষ্টিতে সমস্যা রয়েছে। বরং সঠিক খাবার খেয়ে, শরীরচর্চা করে ওজন কমানোর লক্ষ্যে এগোলে দৈনন্দিন কাজের জন্য শক্তির অভাব হবে না।