Advertisement
E-Paper

৬৬ বছরেও ‘তরুণ’ নাগার্জুন! শুধু একটি নিয়ম মানলেই কাজ হতে পারে, বলছেন তাঁর চিকিৎসক

বয়স বাড়লে স্বাভাবিক নিয়মেই পেশি শিথিল হয়, শরীরে জমে মেদ, কাজে চটপটে ভাব উধাও হয়, কিন্তু নাগার্জুন কী এমন করেন বা কী এমন খান, যে তিনি এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে থমকে দিতে পেরেছেন?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:১২
উপায়টি সহজ কিন্তু কাজে করা কঠিন!

উপায়টি সহজ কিন্তু কাজে করা কঠিন! ছবি : সংগৃহীত।

নিয়ম মানতে বলা যত সহজ, কাজটা রোজ নিয়ম করে করা তত সহজ নয়। নাগার্জুন পেরেছেন। আর সেই জন্যই যাঁরা বয়সকালেও ঝরঝরে এবং ফিট থাকতে চান, তাঁদের আদর্শ হতে পারেন দক্ষিণের এই নায়ক।

বয়স ৬৬ পেরিয়েছে। এখনও তিনি পর্দায় নায়ক। বয়সকালীন মন্থরতা কব্জা করতে পারেনি তাঁকে। তাঁর থেকে কমবয়সি অভিনেতাদেরও ফিটনেসে টক্কর দিতে পারেন এই তেলুগু অভিনেতা। চেহারা নির্মেদ। পেশিবহুল হাত-পা-পেট। দেখলে বোঝাই যাবে না তিনি প্রৌঢ়ত্বের সীমা পেরিয়েছেন। এখনও অ্যাকশন ছবি করেন। অ্যাকশন দৃশ্যের বহু শারীরিক কসরতও করেন নিজেই!

বয়স বাড়লে স্বাভাবিক নিয়মেই পেশি শিথিল হয়, শরীরে মেদ জমে, কাজে চটপটে ভাব উধাও হয়। কিন্তু নাগার্জুন কী এমন করেন বা কী এমন খান, যে তিনি এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে থমকে দিতে পেরেছেন? একদা নাগার্জুনের চিকিৎসা করেছেন মাদুরাইয়ের খ্যাতনামা গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট পালানিপ্পন মানিক্যম।এই চিকিৎসক এখন ক্যালিফোর্নিয়াবাসী। তিনি বিষয়টির জবাব দিয়েছেন।

ওই চিকিৎসক বলছেন, ‘‘নাগার্জুনের খাওয়া দাওয়া সাধারণের থেকে বিশেষ আলাদা কিছু নয়। তিনি ভাত, মাছ, মুরগির মাংস, স্যালাড— সবই খান। তবে তাঁর খাবার খাওয়ার সময় বাকিদের থেকে খানিক আলাদা। আর তাঁর ফিট থাকার চাবিকাঠি সেখানেই লুকিয়ে।’’

ছবি: সংগৃহীত।

নিজের সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিয়োয় চিকিৎসক পালানিপ্পন জানিয়েছেন, নাগার্জুন যা-ই করুন, যেখানেই থাকুন, তাঁর রাতের খাওয়া সেরে ফেলেন সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে। চিকিৎসকের মতে, এই একটি অভ্যাসই স্বাস্থ্যে অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি, শরীরে বয়সের ছাপ পড়ার প্রবণতাকেও কমিয়ে দিতে পারে।

কী ভাবে? তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন চিকিৎসক। তিনি বলছেন, ‘‘আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষ একটা নিয়মে চলে। যে সমস্ত কোষ খাবার হজম করতে সাহায্য করে, তাদেরও কাজের একটা নিয়ম আছে। দিনের আলো যত কমতে থাকে ততই তারা কাজের গতি কমিয়ে দেয় এবং রাতে পুরোপুরি বিশ্রামে চলে যায়।’’ এই কারণেই বেশি রাতে খাবার খেলে বদহজম হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক। কারণ, শরীর যখন বিশ্রামে যেতে চায়, তখন হজম করানোর জন্য জরুরি এনজ়াইম কম ক্ষরণ হয়। বিপাকের হারও কমে যায়। সেই সময় শরীরকে খাবার হজম করতে দিলে স্বাভাবিক ভাবেই ইনসুলিন তার কাজ যথাযথ ভাবে করে না। শরীরে গ্লুকোজ়ের মাত্রা বাড়ে। ফ্যাট ভাঙার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। যা থেকে ধীরে ধীরে শরীরে অতিরিক্ত মেদও বাড়তে শুরু করে। বাড়তি মেদ ঝরাতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরিশ্রম করেও তা সম্ভব হয় না।

এর আগে ঠিক একই ধরনের কথা বলতে শোনা গিয়েছিল বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে। তিনিও জানিয়েছিলেন, রাতের খাবার সন্ধ্যা নামার পরেই খেয়ে নেন। অক্ষয়ও ৬০-এর দোরগোড়ায়। আর ফিটনেসে তিনিও বলিউডে বহু কমবয়সি অভিনেতার থেকে এগিয়ে। অর্থাৎ আগে খাবার খেয়ে ফিট থাকার প্রমাণ একা নাগার্জুন নন, চোখের সামনেই আরও আছে।

পালানিপ্পন বলছেন, ‘‘সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে যদি দিনের শেষ খাবারটি খেয়ে নেন, তবে আপনার শরীর আপনাকে ধন্যবাদ দেবে। আপনার অন্ত্র ভাল থাকবে, আপনার ঘুম ভাল হবে এবং তার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আপনার শরীর সার্বিক ভাবে ভাল থাকবে, রোগ দূরে থাকবে, ওজন বাড়বে না এমনকি, বয়সের ছাপও পড়বে না সহজে।’’ চিকিৎসক জানাচ্ছেন, বয়সকালেও তারুণ্যে ভরপুর থাকার কোনও একটি উপায় যদি মেনে চলতে হয়, তবে এই অভ্যাসটিই হতে পারে সেই উপায়।

Anti Ageing Hacks Habit to stay young
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy