ক্যালশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ জাম শরীরের অনেক সমস্যার সমাধান করে। ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণবঙ্গের আকাশ বর্ষা আগমনের পূর্বাভাস দিলেও তাপমাত্রা কমেনি এখনও। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে অনেকেই চুমুক দিচ্ছেন ঠান্ডা কিংবা নরম পানীয়ের গ্লাসে। তবে এই ধরনের পানীয়তে শর্করার পরিমাণ অনেক বেশি। শরীরের জন্যেও উপকারী নয়। চিকিৎসকদের মতে, শরীর সুস্থ রাখতে সব সময় ভরসা রাখা উচিত মরসুমি ফলের উপর। গরমে বাজারে ফলের অভাব নেই। তবে গরমে জামের কদর খানিকটা হলেও বেশি। জামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ জাম শরীরের অনেক সমস্যার সমাধান করে।
জাম কী ভাবে যত্ন নেয় শরীরের?
রক্ত বিশুদ্ধ করে
জাম রক্ত পরিশোধনকারী হিসাবে কাজ করে। রক্তে হিমোগ্লোবিন এবং আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি করে জাম। রক্ত থেকে যাবতীয় দূষিত পদার্থ শোষণ করে রক্ত পরিষ্কার রাখে। রক্ত পরিষ্কার থাকলেও ত্বকেও এর প্রভাব পড়ে। ত্বক সুস্থ থাকে। চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখে জাম।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে
প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ জাম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত জাম খাওয়ার অভ্যাস হার্ট অ্যাটাক বা মানসিক চাপের আশঙ্কা হ্রাস করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে
ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ জাম কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। দীর্ঘ দিন ধরে যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, সুস্থ থাকতে তাঁরা ভরসা রাখতে পারেন জামে। তবে এই সুফলগুলি পেতে হলে জাম খাওয়ার সময় এবং পরে মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম। সেগুলি কী কী?
১) ফল খাওয়ার পর এমনিতেই জল খেতে বারণ করা হয়। তেষ্টা পেলেও জাম খেয়ে কখনও জল খাবেন না। জাম খাওয়ার অন্তত আধ ঘণ্টা পরে জল খান।
২) খালি পেটে জাম না খাওয়া ভাল। এতে বদহজম, অম্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৩) জাম খাওয়ার পর দুধ, পনির, দইয়ের মতো দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৪) জাম এবং হলুদ খুবই মারাত্মক জুড়ি। এই দু’টো জিনিস কখনও একসঙ্গে খাবেন না। জাম খাওয়ার পর তাই হলুদ দিয়ে তৈরি কোনও খাবার না খাওয়াই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy