টক দই খাবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
দুধের চেয়ে দইয়ের পুষ্টিগুণ অনেকটাই বেশি। দুধ থেকে দই তৈরির যে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, তাতেই ল্যাক্টোব্যাসিলাস ব্যাক্টেরিয়ার জন্ম। ফলে যাঁদের ল্যাক্টোজ় ইনটলারেন্স রয়েছে, তাঁদের দই খেতে সমস্যা হয় না। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অন্ত্রে থাকা ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে টক দই। তাই শিশু থেকে বৃদ্ধ, সকলকেই টক দই খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। টক দই খেলে শরীরে আর কী কী উপকার হয় জানেন?
১) প্রতিরোধশক্তি বাড়িয়ে তোলে
আবহাওয়ার খামখেয়ালি স্বভাবের জন্য সংক্রমণজনিত নানা প্রকার রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্দি-কাশি-জ্বর তো প্রায় প্রতিটি ঘরেই হচ্ছে। এই সময়ে নিয়মিত টক দই খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।
২) হাড় মজবুত করে
পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হাড়ের ক্ষয় হয় বেশি। তাই অস্টিয়োপোরোসিসের মতো হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে নিয়মিত টক দই খেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম শরীরে পৌঁছয়। যা এই ধরনের হাড়ের সমস্যা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
৩) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
টক দই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যাঁরা নিয়মিত টক দই খান, তাঁদের রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও সীমার মধ্যেই থাকে। ফলে ধমনীর পথ রুদ্ধ হয়ে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও এড়িয়ে চলা যায়।
৪) গোপনাঙ্গের সুরক্ষায়
বর্ষাকালে মহিলাদের গোপনাঙ্গে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়। যৌনাঙ্গের পিএইচের মাত্রায় হেরফের হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, টক দইয়ে থাকা ভাল ব্যাক্টেরিয়া এই ধরনের ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ রুখে দিতে পারে।
৫) ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
পুজোর আগে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ছিপছিপে হতে চাইলে নিয়মিত টক দই খাওয়া শুরু করতে হবে এখন থেকেই। কারণ, টক দই খেলে বিপাক হার ভাল হবে। আর বিপাকহার ভাল হলে ওজন ঝরানো সহজ হবে। এ ছাড়াও, শরীর থেকে কর্টিজ়ল হরমোন ক্ষরণের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে টক দই। এই কর্টিজ়ল হরমোনও কিন্তু শরীরে মেদ জমার আরও একটি কারণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy