Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Sleeping Habits

রাতে চিত হয়ে ঘুমোচ্ছেন? জানেন, রোজ রোজ এ ভাবে শুলে কী প্রভাব পড়ে শরীরে?

চিত হয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস শরীরের জন্য খুবই ভাল, এমনই বলছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা। চিত হয়ে শুলে কী কী হয়? মিলতে পারে কী কী উপকার? রইল তার তালিকা।

চিত হয়ে শুলে কী কী হয়? মিলতে পারে কী কী উপকার?

চিত হয়ে শুলে কী কী হয়? মিলতে পারে কী কী উপকার? ছবি: প্রতীকী

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:৫৫
Share: Save:

কেউ পাশ ফিরে ঘুমোন, কেউ উপুড় হয়ে মুখ গুঁজে, কেউ আবার সটান চিত হয়ে শুয়ে পড়েন। আবার যে ভঙ্গিতে বিছানায় যাচ্ছেন, সারা রাত যে সেই একই ভাবে ঘুমোবেন, এমনও নয়। তবে এর মধ্যে চিত হয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস শরীরের জন্য খুবই ভাল, এমনই বলছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা। চিত হয়ে শুলে কী কী হয়? মিলতে পারে কী কী উপকার? রইল তার তালিকা।

১। ২০১৭ সালের একটি গবেষণা বলছে, চিত হয়ে শুলে কাঁধ, পিঠ এবং মেরুদণ্ডের আরাম হয়। মেরুদণ্ডের উপরে চাপ কমে। ঘাড় ও মেরুদণ্ডের হাড়ের স্বাভাবিক গঠন বজায় রাখতে উপযোগী বালিশ মাথার তলায় থাকলে চিত হয়ে শোয়ার ফলে সবচেয়ে বেশি বিশ্রাম মেলে।

২। চিত হয়ে ঘুমোলে পাঁজরের পেশি ও ডায়াফ্রাম পেশির উপর কম চাপ পড়ে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের উন্নতি হয়। ফুসফুস ভরে শ্বাস নেওয়া সহজ হয়। এতে ফুসফুসের ক্ষমতা যেমন বাড়ে, তেমনই বাড়ে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা। ধীর ও গভীর শ্বাসে অজান্তেই কমে মানসিক চাপ। বজায় থাকে হরমোনের ভারসাম্য।

একটু উঁচু বালিশ নিয়ে চিত হয়ে শুলে নাসিকাগহ্বরে মিউকাস জমা হওয়ার আশঙ্কা কমে।

একটু উঁচু বালিশ নিয়ে চিত হয়ে শুলে নাসিকাগহ্বরে মিউকাস জমা হওয়ার আশঙ্কা কমে। ছবি: সংগৃহীত

৩। কোনও এক দিকে পাশ ফিরে শুলে বালিশের সঙ্গে মুখের ঘষা লাগে। ফলে ত্বকের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। অনেকেই মনে করেন, মুখে বয়সের ছাপ পড়া, ত্বক কুঁচকে যাওয়ার অন্যতম কারণ পাশ ফিরে শোয়া। চিত হয়ে শুলে এই সমস্যা অনেকটাই কমে।

৪। একটু উঁচু বালিশ নিয়ে চিত হয়ে শুলে নাসিকাগহ্বরে মিউকাস জমা হওয়ার আশঙ্কা কমে। ফলে সাইনাসের সমস্যা থাকলে আরাম মিলতে পারে চিত হয়ে শুলে। নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যাও এর ফলে কিছুটা কমে যায়। এই ভাবে শুলে খাদ্যনালিও কিছুটা উঁচু হয়ে থাকে। ফলে টক ঢেকুর ওঠার সমস্যা কমতে পারে কিছুটা।

৫। অনেক সময় ঘাড় ও মেরুদণ্ডের সমস্যা থেকে মাথাব্যথা হয়। একে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘সারভিকোজেনিক হেডেক’। অনেকেই এই ধরনের যন্ত্রণাকে মাইগ্রেন বলে ভুল করেন। চিত হয়ে শুলে এই সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sleeping Habits Sleeping Tips Daily Habits
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE