ডায়াবিটিস থাকলেও কিছু ফল নির্ভয়ে খেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকার সঙ্গে ফল খাওয়ার এক নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ফল হচ্ছে সমস্থ স্বাস্থ্যকর উপাদানের সমৃদ্ধ উৎস। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা— স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে ফলের ভূমিকা অনবদ্য। কিন্তু ফলের এত গুণ থাকা সত্ত্বেও ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে ফল খাওয়ার বিষয়ে একটু সাবধানতা থাকে। ডায়াবেটিকদের খাওয়াদাওয়া নিয়ে বাড়তি সতর্ক থাকা জরুরি। না হলে মুশকিলে পড়তে হবে। ডায়াবিটিস থাকলে যে কোনও ফল খাওয়া যাবে না। আম, আঙুরের মতো কিছু ফলে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে বলে ডায়াবেটিকদের জন্য একেবারেই ভাল নয়। তা হলে কোন ফলগুলি খাওয়া যায়?
নাসপাতি
নাসপাতি নির্গুণ, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। নাসপাতিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা ডায়াবেটিকদের ডায়েটে অবশ্যই রাখা উচিত। ফ্রুট স্যালাড বানালেও অবশ্যই তাতে নাসপাতি রাখবেন। ডায়াবিটিস থাকলেও নির্ভয়ে খেতে পারেন নাসপাতি। সমস্যা হবে না।
আপেল
সারা বছরই বাজারে আপেল পাওয়া যায়। আপেলের গুণাগুণ নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই। এতেও প্রচুর ফাইবার রয়েছে। একটি আপেল খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভর্তিও থাকবে। ফাইবারের পাশাপাশি কিছু পরিমাণে ভিটামিন সি’ও রয়েছে এই ফলে। শর্করাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে, একই সঙ্গে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
কিউয়ি
দাম বেশি, তবে নিঃসন্দেহে উপকারী। তবে সব জায়গায় হয়তো সহজে পাওয়া যায় না। যাঁরা অনলাইনে ফল-সব্জি কেনেন, তাঁরা অবশ্যই সহজেই পেয়ে যাবেন। এতে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি। এই দুটো উপাদানই ডায়াবেটিকদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শর্করাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
জাম
জামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে যা শরীরের পক্ষে খুব ভাল। যদিও সারা বছর জাম পাওয়া যায় না। গরমকালের ফল হল জাম। সে ক্ষেত্রে বছরের অন্য সময় বিকল্প হিসাবে চেরি খেতে পারেন। খুব সহজে পেয়ে যাবেন। ফ্রুট স্যালাড আরও সুস্বাদু করার জন্য চেরি দারুণ কাজে লাগে। ড্রাই ফ্রুটস হিসেবেও খেতে পারেন চেরি। তবে দেখে নিতে হবে, তাতে বাড়তি চিনি মেশানো রয়েছে কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy