কোন জলের বেশি উপকার? ছবি: সংগৃহীত।
তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ চড়ছে। বাইরে বেরোলেই ঘেমেনেয়ে একাকার অবস্থা। বাজারে তাই ডাবের চাহিদা তুঙ্গে। গরম যত বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডাবের দামও। একদম ছোট, কচি ডাব বিকোচ্ছে ৪০ টাকায়। একটু বড় হলেই ৬০, আর শাঁস থাকলে তো কথাই নেই! ডাবের দাম শুনে চোখ কপালে উঠলে বাড়ি ফিরে নুন-চিনি দেওয়া লেবুর শরবত খেয়েই ধাতস্থ হতে হয়। কিন্তু শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে কোন পানীয়টি সবচেয়ে বেশি কাজের? কী বলছেন পুষ্টিবিদেরা?
ডাবের জল হল প্রাকৃতিক ‘এনার্জি ড্রিঙ্ক’। এই পানীয়ের মধ্যে রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো উপাদান। যেগুলি শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি ইলেক্ট্রোলাইটের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও ডাবের জলে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা। তাই গরমে ঘেমে ক্লান্ত বোধ করলে এই পানীয় তৎক্ষণাৎ চনমনে করে তুলতে পারে। আবার, পাতিলেবুর রস দেওয়া শরবতের গুণও কম নয়। লেবুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, শরীরের পিএইচের সমতা রক্ষা করতে পাতিলেবুর রস দেওয়া শরবতের জুড়ি মেলা ভার।
সেই অর্থে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে কিন্তু দু’টি পানীয়ই উপকারী। শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি হলে, পটাশিয়ামের অভাবে পেশিতে টান ধরলে, গরমে ঘেমে কাহিল হয়ে পড়লে কিংবা ডিহাইড্রেশনের সমস্যাতেও কাজে দেয় ডাবের জল। অন্য দিকে, ডাবের জলের মতো পাতিলেবুর শরবত শরীরে খনিজের অভাব পূরণ করতে না পারলেও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। কিন্তু, এই পানীয়ে বাইরে থেকে নুন কিংবা চিনি দেওয়া হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবিটিস থাকলে সাবধান। তবে, গরমে চনমনে থাকতে দু’টি পানীয়ই খাওয়া যেতে পারে। কার শরীরে কী প্রয়োজন, সেই বুঝে পানীয় বেছে নিলেই হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy