ভারতে প্রতি বছর ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষের ‘হাইপারটেনশন’ বা উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ে। অল্প বয়সে স্ট্রোক বা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ কিন্তু এই উচ্চ রক্তচাপ। যাঁদের এই সমস্যা রয়েছে, নিয়ম করে তাঁদের ওষুধও খেতে হয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ধমনীর ভিতরে থাকা কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধমনীর ক্রিয়াকলাপে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। যার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কেও। তাই সকালে জলখাবার খাওয়ার পর রোজই হাইপারটেনশন কমানোর ওষুধ খান। তা সত্ত্বেও যদি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না আসে, তখন কী করবেন?
আরও পড়ুন:
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, হেঁশেলেই এমন একটি মশলা রয়েছে যা তৎক্ষণাৎ রক্তচাপকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারে। সেটি হল গোলমরিচ। চিনা বিভিন্ন পদে তো বটেই, বাংলার অনেক পদেও গোলমরিচের ব্যবহার রয়েছে। তবে, হাইপারটেনশনের সমস্যা বশে রাখতে চাইলে রসিয়ে-কষিয়ে খেলে কিন্তু হবে না। তৎক্ষণাৎ কয়েক দানা গোলমরিচ চিবিয়ে খেতে হবে। তা ছাড়া স্যালাড, স্যুপে কিংবা অন্য কোনও পদের উপর থেকে গোলমরিচ গুঁড়ো ছড়িয়ে নিয়মিত খেলেও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। অনেকেই সকালে ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রস এবং মধুর সঙ্গে গোলমরিচের গুঁড়়ো মিশিয়ে খান।
মরিচের মধ্যে থাকা এই প্যাপেরিন উপাদানটি রক্তে পটাশিয়াম বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
গোলমরিচের মধ্যে এমন কি আছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে?
ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ক্যারোটিন, থাইম এবং প্যাপেরিন রয়েছে গোলমরিচের মধ্যে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মরিচের মধ্যে থাকা এই প্যাপেরিন উপাদানটি রক্তে পটাশিয়াম বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। যা হার্টের বড় কোনও সমস্যা রুখে দিতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গোলমরিচের মধ্যে এমন একটি উপাদান রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।