১৯৪৬ সালের ১৬ অগস্টের কলকাতা দাঙ্গাকে ভিত্তি করে ‘দ্য বেঙ্গল ফাইল্স’ সিনেমাটি বানিয়েছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। তবে ছবিটির প্রচারঝলক সামনে আসাার পর থেকেই অভিযোগ উঠেছে, ‘ইতিহাস’ দেখানোর নামে আসলে ওই সিনেমার মাধ্যমে বাংলায় সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। বিতর্ক কখনওই যেন বিবেকের পিছু ছাড়ে না। বিতর্কের মাঝেই এক সাক্ষাৎকারে নিজের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে খোলাখুলি আলোচনায় বসেন বিবেক। পরিচালক জানান, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনি কালো চালের ভাত খান। বিবেক বলেন, ‘‘আমি কালো চালের ভাত আর তেলমশলা ছাড়া শাকসব্জি খাই। এই চালে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট আর ফাইবার আছে। কালো চাল শরীরে ধীরে ধীরে শোষিত হয়। এই চাল রক্তে শর্করার মাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে দেয় না। রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলেই যত সমস্যা শুরু হয়। শরীরে হাজারটা রোগ বাসা বাঁধার সূত্রপাত হয় সেখান থেকেই। আমি ডায়াবেটিক নই, তবুও ডায়েটের দিকটা নজরে রাখি।’’
ডায়াবিটিস হলে রোজের জীবনযাত্রায় তো বটেই, খাবারদাবারেও অনেক বিধিনিষেধ চলে আসে। ডায়াবিটিস হলে কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। সে জন্য অনেকেই ভাত এড়িয়ে চলেন। তবে বাঙালির ভাত ছাড়া চলে না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডায়াবিটিস হলেও ভাত খাওয়া যেতে পারে। তবে সাদা ভাত নয়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাদা ভাতের পরিবর্তে ভরসা রাখতে পারেন কালো চালে। অনেকেই হয়তো জানেন না, এই চালের ভাত ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প। ব্ল্যাক রাইসের পুষ্টিগুণ অনেক।
১) কালো চালে ফাইবার এবং প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ব্ল্যাক রাইস হতে পারে অন্যতম ভরসা।
২) ডায়াবিটিস হলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডায়াবিটিসে ভুগছেন, এমন অনেকেরই ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। রক্তে শর্করার মাত্রার পাশাপাশি ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজের পাতে সাদা ভাতের পরিবর্তে রাখতেই পারেন কালো চাল।
৩) গ্লুটেন আছে, এমন খাবার ডায়াবেটিকদের এড়িয়ে চলার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকেরা। কারণ, গ্লুটেনযুক্ত খাবার ডায়াবিটিস রোগীদের শরীরে নানা রকম বাড়তি অসুস্থতার জন্ম দেয়। কালো চালে গ্লুটেন নেই। ডায়াবিটিস ধরা পড়লে অনায়াসে খেতে পারেন এই চালের তৈরি ভাত।
৪) টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতেও কালো চাল কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ফাইবার এবং ম্যাগনেশিয়াম-সমৃদ্ধ কালো চাল ডায়াবিটিসের সঙ্গে লড়াইয়ে হাতিয়ার হতে পারে। ফলে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে ব্ল্যাক রাইস।
তবে সকলের ক্ষেত্রে কালো চাল স্বাস্থ্যকর ভূমিকা পালন করে না। ডায়াবিটিসের সঙ্গে সঙ্গে কারও যদি হৃদ্রোগ, গ্যাস বা শারীরিক অন্য কোনও সমস্যা থাকে, তা হলে কিন্তু এই চালের ভাত না খাওয়াই ভাল। তবে ডায়াবিটিস রোগীদেরও রোজের ডায়েটে কোনও রকম বদল আনার আগে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরমর্শ নেওয়া জরুরি।