বলিউডে তাঁর একাধিক পরিচিতি। একাধারে তিনি প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবীর স্বামী এবং জাহ্নবী ও খুশি কপূরের বাবা, অন্য দিকে আবার তিনি প্রযোজকও। কথা হচ্ছে বনি কপূরের। সম্প্রতি কোনও ছবির তৈরির কারণে নয়, বনি কপূর সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন তাঁর ওজন কামনোর নজিরের জন্য। কোনও রকম শরীরচর্চা না করেই ২৬ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন বনি। কড়া ডায়েট ও রোজের জীবনে কিছু বদল এনেই এই ভোলবদল করেছেন তিনি।
ডায়েট নিয়ে বেশ কড়া হয়েছেন বনি। রাতে কোনও সলিড খাবার খান না তিনি। রাতে কেবলই স্যুপ খান তিনি। সকালে তিনি খান ফল কিংবা ফলের রস। দুপুরে খান জোয়ারের রুটি। সামাজমাধ্যমের বিভিন্ন পাতায় এখন বনি কপূরের ছবি ভাইরাল। প্রযোজককে দেখে এখন চেনার উপায় নেই। এক সাক্ষাৎকারে বনি বলেন, শ্রীদেবী প্রায়ই তাঁকে ওজন ঝরানোর কথা বলতেন।
বনির বয়স প্রায় সত্তর ছুঁইছুঁই। বয়সকে তোয়াক্কা না করেই ফিট হওয়ার নতুন যাত্রাপথে পা বাড়িয়েছেন তিনি। তবে বেশি বয়সে কড়া ডায়েট কি স্বাস্থ্যসম্মত? ডায়েট চার্টে পুষ্টিকর খাবার থাকাটা আবশ্যিক হলেও কোন বয়সে কোন ধরনের পুষ্টি শরীরে প্রয়োজন আর কতখানি, তা জেনে ডায়েট চার্ট তৈরি করা জরুরি। বয়স, ওজন ও কায়িক পরিশ্রমের ধরন অনুযায়ী ডায়েট তৈরির সময়ে প্রধানত মাথায় রাখা দরকার, ক্যালোরি গ্রহণ আর খরচের হিসেব রাখা। এ ছাড়া বয়সভেদে কিছু অতিরিক্ত পুষ্টির জোগানও জরুরি, যা সাপ্লিমেন্টের আকারে নেওয়া যায়। সেই প্রয়োজনীয়তাগুলি আগে শনাক্ত করে নেওয়া দরকার। তাই ডায়েট শুরু করার আগে অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ জরুরি। আর ডায়েট শুরুর আগে অবশ্যই কিছু নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো জরুরি, এমনটাই মত পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তীর।