সুগার ধরে গেলে তা নিয়ে চিন্তার শেষ থাকে না। এই ওষুধ খাও, পর ক্ষণেই ইনসুলিন নাও। ভারী খাবার খেয়ে ফেললে তো কথাই নেই। নিমেষের মধ্যে রক্তে শর্করা চড়চড় করে বেড়ে যাবে। সুগারের এই ওঠানামা বড়ই বিপদে ফেলে ডায়াবিটিসের রোগীদের। এ দিকে খানিক ক্ষণ যে হাঁটাহাঁটি করে নেবেন, সে সময়ও নেই। এত ব্যস্ততার সময়ে ব্যায়াম করার সময় না পেলে বসে বসেই করে ফেলুন পুশ-আপ। তাতেই কমবে সুগার, উধাও হবে হাঁটু-কোমরের ব্য়থাও। পায়ের পেশির জড়তাও কেটে যাবে দিন কয়েকের মধ্যেই।
বসে বসে আবার পুশ-আপ করা যায় নাকি! এটাই ভাবছেন তো? সোলিয়াস পুশ-আপ দাঁড়িয়েও করা যায়, আবার বসেও। ডেস্কে বসে কাজ করেন যাঁরা, তাঁদের জন্য ‘সিটিং সোলিয়াস পুশ-আপ’ খুবই উপকারী। এতে ব্যথাবেদনা দূর হবে, বসে বসে স্ট্রেচিংও হয়। সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। সোলিয়াস পুশ-আপ নিয়ে এখন ইন্টারনেটেও খুব চর্চা হচ্ছে। এই পদ্ধতি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে বলে দাবিও করা হয়েছে। ডায়াবেটিকদের জন্য এই ব্যায়াম খুবই কার্যকরী। আমেরিকার হাউস্টন ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা দাবি করেছেন, খাবার খাওয়ার পরে রক্তে শর্করা হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে। ভারী কিছু খেলে আর খাওয়ার পরে হাঁটাহাঁটি না করলে সুগার বেড়ে যেতে বাধ্য। সেই সময়ে যদি সোলিয়াস পুশ-আপ মিনিট দশেকও করে নেওয়া যায়, তা হলে রক্তে শর্করা বাড়তেই পারবে না। দেখা গিয়েছে, এই ব্যায়াম করে সুগারের ওঠানামা প্রায় ৫২ শতাংশ কমে গিয়েছে ডায়াবিটিসের রোগীদের।
কী ভাবে করবেন সোলিয়াস পুশ-আপ?
অফিসের চেয়ারে বসে, বাড়িতে, কোথাও ঘুরতে গিয়ে বা গণপরিবহণে যাওয়ার সময়ে বসে থাকার সুযোগ পেলেই করে নেওয়া যাবে সোলিয়াস পুশ-আপ। পদ্ধতি খুবই সহজ। প্রথমে মাটিতে দুই পায়ের পাতা রাখতে হবে। তার পর গোড়ালি এক বার ওঠাতে হবে, আর নামাতে হবে। টানা করতে হবে এই ব্যায়াম। প্রথম প্রথম কাফ মাসলে টান ধরতে পারে। তবে ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন:
একটানা ডেস্কে বসে কাজ করেন যাঁরা, তাঁরা যদি প্রতি ২০ মিনিট অন্তর ১০ মিনিট করেও সোলিয়াস পুশ-আপ করে নিতে পারেন, তা হলে পায়ের পেশির জড়তা কাটবে। পায়ে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে।
সোলিয়াস পুশ-আপ মেদ কমাতে পারে কি না, তার কোনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এই ব্যায়ামটি করলে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকার কারণে যে শারীরিক সমস্যাগুলি হয়, সেগুলি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।