মুখের স্বাস্থ্যের সঠিক খেয়াল না রাখলে জিভের উপর সাদা আস্তরণ পড়ে। ছবি: শাটারস্টক
চিকিৎসকদের কাছে গেলেই তাঁরা অনেক সময়ে জিভ দেখতে চান। কেন বলুন তো? কারণ আর কিছুই নয়, খাবার ভাল না মন্দ বুঝতে যেমন সবচেয়ে বড় ভরসা জিভ, তেমনই শরীর ভাল না মন্দ বুঝতেও কাজে আসতে পারে জিহ্বা। জিভের স্বাভাবিক লালভ রঙের বদলে গেলে তা বিভিন্ন সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময়ে জিভের উপর সাদাটে আস্তরণ পড়তে দেখা যায়। কেন হয় এমন?
প্রথমত মুখের স্বাস্থ্যের সঠিক খেয়াল না রাখলে জিভের উপর সাদা আস্তরণ পড়ে। শরীরে জলের ঘাটতি হলেও জিভ সাদা হয়ে যায়। নিয়মিত মদ্যপান, ধূমপান করলেও কিন্তু জিভের উপর সাদা স্তর পড়ে যায়। এ ছাড়া কিছু রোগের ক্ষেত্রেও জিভে সাদা দাগ হয়। জেনে নিন কখন সাবধান হবেন।
১) লিউকোপ্লাকিয়া: নাম খটমট হলেও সমস্যাটি সাধারণত খুব একটা উদ্বেগের নয়। জিভ বা মুখগহ্বরের উপরিত্বকের কোষের অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। এই কোষগুলি কেরাটিন নামের একটি প্রোটিনের সঙ্গে মিশে জিহ্বায় একটি সাদা আস্তরণ তৈরি করে। কিন্তু কেন এমন হয়, তা নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব না। সাধারণত নিজে থেকে সেরে গেলেও কখনও কখনও লিউকোপ্লাকিয়া থেকে মুখের ক্যানসার আশঙ্কা থাকে। তাই সময় থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভাল।
২) ওরাল থ্রাশ: মুখের ভিতরেই ‘ক্যান্ডিডা ইস্ট’ নামের এক প্রকার ছত্রাক থাকে। এই ছত্রাকটি মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলেও জিভে সাদাটে আস্তরণ তৈরি হতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলে ওরাল থ্রাশ। সাধারণত এটি গুরুতর সমস্যা না হলেও ওরাল থ্রাশ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই এই সমস্যার আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে কোনও গভীর সমস্যাও।
৩) সিফিলিস: সিফিলিস একটি যৌন রোগ। জিভে সাদা রঙের আস্তরণ এই রোগের অন্যতম লক্ষণ। সাধারণত অসুরক্ষিত যৌন মিলনের মধ্য দিয়ে এই রোগের ব্যাক্টেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। সময় মতো চিকিৎসা না হলে এই রোগ মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। তাই জিভে এই ধরনের কোনও সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy