দু’বছরের দাম্পত্য। এক বছরের মাতৃত্ব। পাশাপাশি, জমজমাট পেশা। পোশাকশিল্পী মাসাবা গুপ্তের সুখী সংসারের ছবিটা এখন এমনই। তবে তার সঙ্গেই আসে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা। অর্থাৎ স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল ক্ষরণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। সে খবর নিজেই দিয়েছেন নীনা গুপ্তের কন্যা। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে মাসাবা লিখেছেন, ‘‘আমার কর্টিসলের মাত্রা আকাশছোঁয়া। ঘরে বানানো খাবার দিয়ে সেটা কমানোর চেষ্টা করছি। সব কিছুর শুরু সেই রান্নাঘরেই।’’ তার সঙ্গেই খাবার ভরা থালার ছবি দিয়েছেন মাসাবা। যেখানে বিট আর ওট্স দিয়ে বানানো চিলা রাখা। পাশে একটি বাটিতে আর এক প্রকার খাবার রাখা। মাসাবার বিবরণী থেকেই জানা যায়, সেটি চিয়া বীজের পুডিং। তাতে রয়েছে, শসা, চিনেবাদামের গুঁড়ো, কারিপাতা, হিং, গোটা সর্ষে আর ইয়োগার্ট। অর্থাৎ, বাড়ির সাদামাঠা খাবার খেয়েই কর্টিসলের মাত্রা কমানোর চেষ্টায় আছেন তিনি।
২০১৯ সালে ‘পাবমেড’-এ প্রকাশিত হয়েছে একটি গবেষণাপত্র। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার পুষ্টিবিদ্যা বিভাগ থেকে একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল, পুষ্টিকর খাবারের সাহায্যে স্ট্রেস হরমোন কমিয়ে ফেলা সম্ভব। কর্টিসল এমনই এক প্রকার হরমোন, যা মানুষকে সক্রিয় রাখার কাজে বড় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে অতিরিক্ত মাত্রায় কর্টিসল ক্ষরিত হতে থাকলে শরীর ও মনের উপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যা অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। এর ফলে দেখা দেয় ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা, মেজাজের হেরফেরের মতো অসুবিধাগুলি। গবেষণার বক্তব্য অনুযায়ী, খাদ্যাভ্যাস সেখানে এই স্ট্রেস হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরিশোধিত চিনি, অতিরিক্ত ক্যাফিন, খাওয়াদাওয়ার সময় না মানা, ইত্যাদির কারণে কর্টিসল ক্ষরণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
মাসাবার খাওয়ার পাতের ছবি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
মাসাবার খাবারদাবার কর্টিসল কমানোর জন্য উপকারী বলেই মনে করা যেতে পারে। মাসাবা এখন নিজের জন্য রান্না করেন পুষ্টিকর ও সহজ খাবার। তাঁর পাতের খাবারগুলির নানাবিধ উপকার রয়েছে। যেমন—
· ওট্স রক্তে শর্করার ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে রাখে
· বিট রক্তসঞ্চালন উন্নত করে
· চিয়া বীজ শরীরকে ম্যাগনেসিয়াম ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দেয়
· দই অন্ত্রের সুস্থতা বজায় রেখে মন ভাল রাখতে সাহায্য করে
ফলে, সামগ্রিক ভাবে শরীরে এক প্রকার ভারসাম্য আসে। আর সে কারণে হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখা সুবিধাজনক হয়ে ওঠে।