নতুন করে অতিমারির ধাক্কায় তলানিতে এসে ঠেকেছে কন্ডোম বিক্রির ব্যবসা। ছবি: সংগৃহীত
করোনা আবহ কি মানুষের স্বাভাবিক যৌন জীবনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে? না কি যৌন জীবন বজায় থাকলেও কন্ডোম ব্যবহার করার উৎসাহ হারিয়েছেন অনেকে? হয় তাঁদের সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার পাশাপাশি প্রিয়জনের সঙ্গে বেড়েছে শারীরিক দূরত্ব। অথবা হতে পারে তাঁরা ঝুঁকেছেন পরিবার-বৃদ্ধি দিকে। অন্তত এই বিষয়টিকে সিলমোহর দিচ্ছে মালয়েশিয়ার কন্ডোম প্রস্তুতকারী এক সংস্থা।
সেই সংস্থার দাবি, প্রতি বছর ১৪০টি দেশে প্রায় ৫০০ কোটির কাছাকাছি কন্ডোম রপ্তানি করা হত। সেই রপ্তানিকৃত কন্ডোমের তালিকায় ছিল ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের কন্ডোম। নতুন করে অতিমারির ধাক্কায় তলানিতে এসে ঠেকেছে কন্ডোম বিক্রির ব্যবসা।এই করোনা-স্ফীতি আবহে কন্ডোম রপ্তানি প্রায় ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে ইটালি, ব্রিটেন, আমেরিকা প্রভৃতি দেশে কমছে কন্ডোমের ব্যবহার।
তাহলে কী সুরক্ষা ছাড়াই যৌনতায় লিপ্ত হচ্ছেন অনেকে?
সমীক্ষা বলছে, সব ক্ষেত্রেই তেমন না-ও হতে পারে। হয়তো যাঁরা এই বা়ড়ি থেকে কাজের সুবিধা নিয়ে নতুন বাবা-মা হওয়ার পরিকল্পনা করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এটা সত্যি। গত দু’বছরে যে অনেকেই সেই পথে হেঁটেছেন, তারও খানিক প্রমাণ মেলে। কিন্তু একইসঙ্গে করোনার অনিশ্চিত আবহের জন্যেও অনেকটা কমেছে কন্ডোম বিক্রি। অনেকটা সময়ে জু়ড়ে বন্ধ থাকা বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র, হোটেল, যৌনস্বাস্থ্যের ক্লিনিক মানুষের অবাধে মেলামেশা কমিয়ে দেয়। অনলাইনে ডেটিং অ্যাপে নতুন কারও সঙ্গে আলাপ হলেও সেই সম্পর্ক মুখোমুখির বদলে অনলাইনের সীমাবদ্ধ থাকে। টিকাকরণের পর কন্ডোমের বিক্রি একটু বাড়লেও, বিশ্বজুড়ে করোনা-স্ফীতি ফের পরিস্থিতি আগের জায়গায় নিয়ে গিয়ে ফেলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy