একসময়ে যা ছিল সংস্কৃতির অঙ্গ, এখন তা-ই হাল ফ্যাশন। খোলা পিঠ, পা-হাতের ত্বকে উঁকি দেওয়া রং-বেরঙের নকশা বিগত পাঁচ-ছয় বছর ধরেই ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। কারও পছন্দ বিশেষ মানুষটির নাম, কেউ আবার শরীরে আঁকছেন আধ্যাত্মিক চিহ্ন, কেউ বেছে নিচ্ছেন প্রেমের উক্তি। তারকা থেকে আমজনতার শরীরের নানা অংশে এখন উঁকি দিয়ে যায় ট্যাটু। গত কয়েক বছরে সাজসজ্জার অঙ্গ হয়ে হয়ে উঠেছে তা।
আপনিও কি সেই স্রোতেই গা ভাসাচ্ছেন? তা হলে বরং একটু ভেবে নিন।জয়পুরের একটি হাসপাতালের ত্বকের রোগের চিকিৎসক ডিম্পল কোঠারি সতর্ক করছেন, ট্যাটুর কালি অনেক সময় অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। অনেক কালিতেই নিকেল, ক্রোমিয়াম, কোবাল্টের মতো ধাতু, খনিজ থাকে। যা থেকে অ্যালার্জি হওয়া মোটেই আশ্চর্য নয়। এবং দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতির সম্ভাবনাও এতে থেকে যায়।
আরও পড়ুন:
ক্ষতি এড়াতে কী করণীয়?
প্যাচ টেস্ট: শখপূরণ করতে হলে তাই বাড়তি সতর্কতাও জরুরি। বিশেষত ত্বকের ধরন স্পর্শকাতর হলে ঝুঁকি বাড়ে। সে কারণেই জরুরি প্যাচ টেস্ট। যদি ত্বকের অনেকটা অংশ জুড়ে ট্যাটু করাতে হয়, তা হলে অবশ্যই অল্প একটু স্থানে কালি ব্যবহার করে দেখা দরকার ত্বকে জ্বালা, চুলকানি, ফুলে যাওয়া, লাল হয়ে যাওয়ার মতো কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না।
স্বাস্থ্যবিধি: যে স্টুডিও থেকে কাজটি করানো হচ্ছে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি কতটা মানা হয় দেখা দরকার। হাইপো অ্যালার্জিক কালি ব্যবহার হলে ঝুঁকি কম থাকে। তা ছাড়া একবারই ব্যবহারযোগ্য স্টেরেলাইজ নিড্ল বা সূচ ব্যবহার হচ্ছে কি না দেখা প্রয়োজন। দস্তানা পরে কাজটি করলেও সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
ট্যাটু করানোর পরে যত্ন: ট্যাটু করানোর পরেও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত দরকারি।কয়েকটি দিন সুইমিং পুলে না নামা, ট্যাটুর স্থানে সরাসরি সূর্যালোক না লাগানো, প্রসাধনীর ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া দরকার। যদি কোনও কারণে ট্যাটু করানোর পর জ্বালা যন্ত্রণা হয়, স্থানটি ফুলে ওঠে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।