ওট্স খেলে পেটের সমস্যা বাড়তে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
পাউরুটি গমজাত খাবার। যাঁদের গ্লুটেনে অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁদের নিয়মিত পাউরুটি খাওয়া মোটেও ভাল নয়। তা ছাড়া, ময়দায় ফাইবার প্রায় নেই বললেই চলে। তাই পুজোর আগে যে ক’টা দিন হাতে রয়েছে, তার আগে জোরকদমে জিম তো করছেনই। সঙ্গে বিপাকহার উন্নত করার জন্য পরিজ খেতে শুরু করেছেন। দুপুরে ভাতের বদলে ওটসের খিচুড়িও খাচ্ছেন। তবে পেশায় হার্টের চিকিৎসক এবং প্রভাবী জ্যাক উলফসন বলছেন, ওট্স বা মুসলি ইংল্যান্ডে পরিজ নামে বহুল পরিচিত। এই জাতীয় খাবারের আসলে কোনও পুষ্টিগুণই নেই। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার পর থেকেই সাধারণ মানুষ থেকে চিকিৎসককূল— সকলের মনেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বহু চিকিৎসকই জ্যাকের বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন।
যদিও জ্যাক তাঁর স্বপক্ষে একাধিক যুক্তি খাড়া করেছেন। তিনি বলেছেন, “চিকিৎসক হিসাবে আমি কাউকে ওট্স বা মুসলি খাওয়ার পরামর্শ দিই না। জলখাবার হিসাবে প্রতি দিন এই জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস মোটেও ভাল নয়। আমাদের বাবা-ঠাকুরদারা কেউ মুসলি বা পরিজ খেয়ে বড় হননি।” বদলে ডিম দিয়ে তৈরি খাবার রাখা যেতে পারে সকালের জলখাবারে।
ওট্স, মুসলি, পরিজ বা কর্নফ্লেক্সের মতো খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। যাঁদের হজমের গোলমাল, অন্ত্রের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এই ফাইবার মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। বরং সাধারণ হাতে গড়া রুটি, পাউরুটির সঙ্গে ডিমসেদ্ধ, ভুজিয়া, পোচ খাওয়া যেতেই পারে। ভিটামিন এ, বি৫, বি১২, ডি, ই ছাড়াও ডিমের মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম এবং প্রোটিন। রাতে খাবার খাওয়ার ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর সকালের জলখাবারে তাই এমন কিছু থাকা প্রয়োজন, যা প্রোটিন নির্ভর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy