ওজন ঝরাতে গেলে সঠিক ডায়েট এবং শরীরচর্চা জরুরি। তবে, নিয়ম মেনে চললেও কখনও কখনও কাঙ্খিত ফল অধরা রয়ে যায়। পরিমিত খাবার এবং শরীরচর্চার পাশাপাশি কোনটা করণীয়, কোনটি নয়— তা নিয়ে ধন্দ্বে ভোগেন কেউ কেউ।সেই কাজ কী ভাবে সহজ হতে পারে পরামর্শ দিলেন হায়দরাবাদের স্নায়ুরোগের চিকিৎসক সুধীর কুমার।সমাজমাধ্যমে এক্স-এ (সাবেক টুইটার) –এ এই নিয়ে পাঁচ পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। চিকিৎসক জানিয়েছেন, একসময় ওজন কমাতে নিজেও কৌশলগুলি অনুসরণ করেছিলেন। এক বছরে ৩০ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
চিনি: খাবারে সচেতন ভাবে চিনি খাচ্ছেন না ঠিকই, কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল বলে যা যা খাচ্ছেন তাতেও কিন্তু চিনি রয়ে যায়। আইসক্রিম, চকোলেট, বাজারচলতি ফলের রস, মকটেল— এমন ধরনের খাবার, পানীয় কিন্তু ওজন না কমার কারণ হতে পারে।
অ্যাপে খাবার কেনার প্রবণতা: অনলাইনে খাবার মেলে ঘর বসেই। খিদের মুখে এই সুযোগ-সুবিধাগুলি অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। বাইরের খাবার খাওয়া যথা সম্ভব কমিয়ে দিলেই মেদ ঝরানো কঠিন হবে না।
রেস্তরাঁর খাবার: যতই দামী বা ভাল জায়গায় গিয়ে খাওয়া হোক না কেন, রেস্তরাঁর লক্ষ্যই থাকে স্বাদ বৃদ্ধি করা। স্বাস্থ্য এবং ক্যালোরির হিসাবে সেখানে করা যায় না। তা ছাড়া, লোভনীয় খাবার সামনে পেলে খিদেও বেড়ে যায়।তাই রেস্তরাঁর খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
বুফের বদলে আ লা কার্টে: ভোজন রসিকদের কাছে বুফেই পছন্দের। নানা রকম রান্না খাওয়ার সুযোগ থাকে। যেটা ভাল লাগে সেটা অঢেল খাওয়া যায়। কিন্তু ওজন কমাতে গেলে বুফের বদলে আ লা কার্টে ভাল। কারণ, এতে নির্দিষ্ট খাবার বেছে নেওয়া যায়। পরিমাণও থাকে সীমিত। অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার প্রবণতা কমে।
দ্রুত নৈশ আহার: রাতের খাবারটি দ্রুত খাওয়া প্রয়োজন। বহু তারকাই জানান, তাঁরা ছ’টা কিংবা সাতটার মধ্যে রাতের খাওয়া সেরে ফেলেন। এর বিজ্ঞানসম্মত দিকও আছে। রাতের খাবার এবং সকালের খাবারের মধ্যে ১২-১৪ ঘণ্টার বিরতি থাকলে ওজন কমানো সহজ হয়। রক্তে শর্করাও বশে থাকে।
একইসঙ্গে পরিমিত এবং সুষম আহার, পর্যাপ্ত ঘুম এবং শরীরচর্চাও জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক।