প্রচণ্ড গরমে ব্যায়াম করতে আর মন চায় না? অফিসে থেকে ফিরে ক্লান্তি কি আপনার শরীরচর্চার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে? যদি বা কষ্ট করে একটু-আধটু দৌড়ঝাঁপের অভ্যাস আয়ত্ত করেছিলেন, ব্যস্ততার কারণে তা-ও বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। জিমে গিয়ে ভারী ওজন তুলে ব্যায়াম করার কথা মনে হলেই গায়ে জ্বর আসে। এ দিকে সারা দিন বসে কাজে পেট, কোমর, নিতম্বের মেদ যেন ঝড়ের গতিতে বেড়ে চলেছে। যতই ডায়েট করুন বা সকালে উঠে হাঁটুন, পেটের চর্বি কমানো অত সহজ নয়। তার জন্য নির্দিষ্ট কিছু কার্ডিয়ো ব্যায়াম আছে। নিয়ম করে স্ট্রেংথ ট্রেনিংও করতে হয়। সেগুলির নাম শুনলে যদি আতঙ্ক হয়, তা হলে সহজ একটি ব্যায়াম অভ্যাস করতে পারেন। ঘরের ভিতরে, বাইরে, যে কোনও জায়গায়, যে কোনও সময়েই এটি করা যায়। এতে ওজন কমে খুব তাড়াতাড়ি।
শরীরের উপরের অংশ, নীচের অংশ, সবেরই ব্যায়াম হয়। সারা শরীরের পেশির নমনীয়তা বাড়ে। এই ব্যায়াম করলে ওজন কমা ছাড়াও আরও নানা উপকার হয়। ব্যায়ামটির নাম জাম্পিং জ্যাক। ফিটনেস প্রশিক্ষক অনুপ আচার্য জানাচ্ছেন, জাম্পিং জ্যাক করলে যেমন কার্ডিয়োর মতো উপকার পাওয়া যায়, তেমনই সারা শরীরের স্ট্রেচিংও হয়। এই ব্যায়ামটি ১০ বার করে তিন সেট করলে উপকার পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:
জাম্পিং জ্যাক কী ভাবে করবেন?
দুই পায়ের মধ্যে ব্যবধান রেখে দাঁড়াতে হবে।
দুই হাত রাখুন মাথার উপরে।
এই অবস্থাতেই লাফাতে হবে।
লাফানোর সময় দুই হাত ও দুই পায়ের মধ্যে দূরত্ব কমে কাছাকাছি আসবে।
অনেকে ছন্দ মেলাতে হাত জড়ো করার সময় তালিও দেন।
জাম্পিং জ্যাক করলে লাভ কী হবে?
জাম্পিং জ্যাকের উপকারিতা নিয়ে ২০২১ সালে ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন ফিজ়িয়োলজি’ জার্নালে একটি গবেষণাপত্র ছাপা হয়েছিল। গবেষকেরা জানিয়েছিলেন, শরীরের প্রতিটি পেশি ব্যবহৃত হয় এই ব্যায়ামের সময়। এতে ক্যালোরি তাড়াতাড়ি কমে। শরীর ‘ওয়ার্ম আপ’ করতেও জাম্পিং জ্যাক করা হয়। এই ব্যায়াম পেশির সক্রিয়তা বাড়ায়, চর্বি গলায়। নিয়মিত করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে, হৃৎস্পন্দনের হার নিয়মিত হবে এবং হার্টের রোগের ঝুঁকিও কমবে।
শরীরের ভারসাম্য রাখতেও এই ব্যায়াম উপকারী। দীর্ঘ ক্ষণ বসে থেকে হাত-পায় বা নিতম্বের পেশির অসাড়তা বাড়লে, কাফ মাসলে ঘন ঘন টান ধরলে, এই ব্যায়াম করতে পারে। জাম্পিং জ্যাক করলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে।