ধূমপানের ফলে যে রক্তের চাপ বেড়ে যেতে পারে, সে বিষয়ে চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সকলেই একমত। ছবি- সংগৃহীত
দীর্ঘ দিন ধরে ধূমপান করার অভ্যাস। জানেন অতিরিক্ত ধূমপান করলে শরীরে তার প্রভাব কেমন হতে পারে। তা-ও সুখটানে ইতি টানতে পারছেন না। এ দিকে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দীর্ঘ দিন ধরে ওষুধও খেয়ে চলেছেন। তাতেও যে বিশেষ ফল হচ্ছে, তেমনটা নয়। ২০১৭ সালে হওয়া একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, দেশের প্রায় ২ কোটি ৬৭ লক্ষ মানুষ তামাকে আসক্ত। মোট প্রাপ্তবয়স্কের ২৯ শতাংশই তামাক ব্যবহার করেন। এই ২৯ শতাংশের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষেরই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। এ ছাড়াও ধূমপানের ফলে যে রক্তের চাপ বেড়ে যেতে পারে, সে বিষয়ে চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সকলেই একমত।
ধূমপান এবং হৃদ্রোগের মধ্যে আদৌ কোনও যোগ রয়েছে কি?
ধূমপানের কারণে প্রতি চার জনের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়। এবং তার বেশির ভাগই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে। ধূমপানের কারণে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে ভাল কোলেস্টেরল অর্থাৎ, এইচডিএল কমে যায়। যে কারণে ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এর ফলে হৃৎপিণ্ড আর মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়। সঙ্গে রক্তনালীতে চর্বি, খারাপ কোলেস্টেরল এবং ক্যালশিয়াম, ক্রিস্টালের আকারে জমতে শুরু করে। ফলে রক্তনালীর দেওয়াল পুরু হতে থাকে। যার ফলে হার্ট অ্যার্টাক, স্ট্রোকের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
ধূমপানের এই অভ্যাস ত্যাগ করবেন কী করে?
১) নিকোটিন থেরাপি
ধূমপান ত্যাগ করার জন্য নানা পন্থা অবলম্বন করেন অনেকে। নিকোটিন থেরাপি তার মধ্যে অন্যতম। ধূমপান করতে ইচ্ছা করলে নিকোটিন দেওয়া স্প্রে বা চিউইং গাম খেলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
২) ধূমপান করার ইচ্ছা
ঠিক যে যে সময়ে ধূমপান করতে ইচ্ছে করবে, তখন তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারাও কিন্তু এক রকম অভ্যাস। বন্ধু সমাগমে, কাজের ফাঁকে বা মানসিক চাপে, যখনই ধূমপান করতে ইচ্ছে করবে নিজেই নিজেকে বোঝাতে হবে।
৩) অন্য দিকে মন দেওয়ার চেষ্টা করুন
যখনই ধূমপান করতে ইচ্ছা করবে, মুখে লজেন্স বা চিউইং গাম দিয়ে রাখতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধূমপানের ইচ্ছায় লাগাম পরাতে চাইলে মনকে যদি অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া যায়, তা হলে বেশ অনেক ক্ষণ পর্যন্ত এই ইচ্ছাকে বশে রাখা যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy