Advertisement
E-Paper

বয়স্ক বাবার কোলেস্টেরল, রক্তচাপ বেড়েছে? কোন কোন ব্যায়ামে দূরে থাকবে রোগবালাই

বাড়ির বয়স্কদের অনেকেই শরীরচর্চা করতে রাজি হন না। অবসর জীবনে অবসাদ আর অনিচ্ছা ঘিরে ধরে। সে ক্ষেত্রে উৎসাহ দিতে হবে বাড়ির লোকজনকেই। নিয়মিত ব্যায়ামেই দূরে থাকবে যত অসুখবিসুখ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৫ ১৯:৪১
বয়সকালে নানা শারীরিক সমস্যা হবেই, তবে কয়েকটি ব্যায়াম অভ্যাসে অসুখবিসুখ দূরে থাকবে।

বয়সকালে নানা শারীরিক সমস্যা হবেই, তবে কয়েকটি ব্যায়াম অভ্যাসে অসুখবিসুখ দূরে থাকবে। ছবি: ফ্রিপিক।

বয়সকালে নানা অসুখবিসুখ হবেই। তা নিয়ে অত চিন্তার কারণ নেই। তবে যদি রক্তচাপ প্রায়ই ওঠানামা করে, কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়তে থাকে, তা হলে সাবধান হতেই হবে। বয়স্ক বাবার শরীর ঠিক আছে কি না, তা জানতে আগেই কিছু রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। তাতে রক্তে শর্করা বা কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশির দিকে এলে তখন ওষুধ বা চিকিৎসার পাশাপাশি নিয়ম করে কিছু ব্যায়ামও অভ্যাস করালে ভাল।

বাড়ির বয়স্কদের অনেকেই শরীরচর্চা করতে রাজি হন না। অবসর জীবনে অবসাদ আর অনিচ্ছা ঘিরে ধরে। সে ক্ষেত্রে উৎসাহ দিতে হবে বাড়ির লোকজনকেই। কঠিন কিছু নয়, বরং সহজ কয়েকটি ব্যায়ামেই নানা অসুখবিসুখ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

হাঁটাহাঁটি

গতানুগতিক ব্যায়াম বা যোগাসন করতে বললে হয়তো তাঁরা রাজি হবেন না। তাই অন্য পন্থা নিন। রোজ সকালে হাঁটা দিয়েই শুরু হোক। বয়স্ক অভিভাবককে নিয়ে আপনিও যান। তাঁর বয়সি আরও কয়েক জনকেও রাজি করান। সকলে একসঙ্গে মিলে গেলে আনন্দও হবে, শারীরিক কসরতের আগ্রহও তৈরি হবে। 'ব্রিস্ক ওয়াকিং' বয়স্কদের জন্য ভাল। সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে হাঁটার অভ্যাস করাতে হবে। তবে একটানা হাঁটা নয়, বিরতি নিয়ে হাঁটতে হবে। ছোট ছোট পদক্ষেপে হাঁটলে ভাল। শরীর বুঝে হাঁটার গতি বাড়াতে হবে।

এক পায়ে ব্রিজ

মাটিতে চিত হয়ে শুয়ে দু’হাঁটু ৯০ ডিগ্রি মুড়ে রাখতে হবে। এ বার কোমর মাটি থেকে তুলে একটা পা শূন্যে তুলে ধরতে হবে। অন্য পায়ের জোরে কোমরটা ধরে থাকতে হবে। এই পদ্ধতিতে দু’পায়ে ১০ সেকেন্ড করে বার ছ’য়েক করতে হবে এই ব্যায়াম। এতে হাঁটুর জোর বাড়বে। এই ভাবে এক মাস করার পর ১০ সেকেন্ডের সময় বাড়িয়ে ৩০ সেকেন্ড করলে ভাল। এতে কোমর-পিঠের ব্যথাবেদনাও কমবে।

সাঁতার

গোটা দেহে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলার মোক্ষম অস্ত্র হল সাঁতার। যে কোনও বসেই সাঁতারের মতো ব্যায়াম অভ্যাস করা যায়। বয়স বাড়লে শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে ব্যথার প্রকোপ বাড়ে। এই সমস্যা নিরাময় করতে পারে সাঁতার। তা ছাড়া, নিয়মিত সাঁতার কাটলে ফুসফুসে সংক্রমণ জনিত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

তাই চি

ভারতীয় সেনাবাহিনীকে শেখানো হয় এই ব্যায়াম। বয়সের সঙ্গে বাড়ে দেহের ভার। কমতে থাকে শরীরের নমনীয়তা। মনঃসংযোগের অভাবও ঘটতে দেখা যায়। বয়সজনিত এই সমস্যাগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভ্যাস করা যায় তাই চি। ‘লো-ইমপ্যাক্ট’ শরীরচর্চার সঙ্গে বিশেষ পদ্ধতিতে শ্বাস-প্রশ্বাসের সংযোগ ঘটানো এবং মনঃসংযোগ করা— এই পুরো বিষয়টি শেখানো হয় তাই চি-তে। তবে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের কাছ থেকেই তা শিখতে হবে।

exercise tips Fitness Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy