শরীরচর্চায় করুক ছোটরাও। ছবি:সংগৃহীত।
প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, তাই শিশুরা মাঝেমাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে এই বর্ষায় শিশুদের জ্বর, সর্দি-কাশি, পেটখারাপ লেগেই থাকে। ঘন ঘন অসুস্থ হলে শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে তারা। পড়াশোনা থেকে খেলাধুলো, প্রায় সব কিছুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। খুদেকে ফিট রাখতে বাবা-মায়েরা কম চেষ্টা করেন না। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান, সঙ্গে খুদের দেখাশোনায় কিছু নিয়মও মেনে চলেন। তবে সেই রুটিনে রাখা জরুরি শরীরচর্চাও। স্কুল, পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ, আঁকা, সাঁতার প্রশিক্ষণও থাকে। ফলে আলাদা করে খেলাধুলোর সুযোগ কমই পায় খুদেরা। বেড়ে ওঠার বয়সে দৌড়ঝাঁপ করে হোক কিংবা লুকোচুরি খেলে, শারীরিক কসরতের প্রয়োজন রয়েছে। তবে সেই সুযোগ না থাকলে ভরসা রাখতে হবে যোগাসনে। এতে শুধু স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে তা নয়, শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিও সম্ভব। শিশুরা কোন যোগাসনগুলি করতে পারে?
বালাসন
চনমনে থাকতে শিশুরা এই যোগাসনটি করতে পারে। এটি করতে প্রথমে হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসতে হবে। শরীরটা এমন ভাবে বেঁকাতে হবে যাতে বুক যেন উরুতে ঠেকে। মাথা থাকবে মেঝেতে। হাতদুটো সামনের দিকে মেলে দিতে হবে।
সুখাসন
প্রথমে শিরদাঁড়া সোজা করে পা সামনের দিকে ছড়িয়ে বসতে হবে। এ বার হাঁটু বেঁকিয়ে নিয়ে বাঁ দিকের পা ডান দিকের হাঁটুর তলায় রাখতে হবে। ডান দিকের পা বাঁ দিকের হাঁটুর তলায় রাখতে হবে। এ বার হাতের তালু দু’টি হাঁটুর উপরে রাখতে হবে। মাথা, ঘাড় ও শিরদাঁড়া যেন এক সরলরেখায় থাকে। সোজাসুজি তাকিয়ে স্বাভাবিক শ্বাস নিন।
শবাসন
সবচেয়ে সহজ একটি আসন। এই আসনটি করতে প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পা দু’টি লম্বা করে ছড়িয়ে দিতে হবে। দু’টি হাত থাকবে শরীরের পাশে। হাতের তালু দু’টি শিথিল করে রাখতে হবে। চোখ বন্ধ থাকবে। বেশ কিছু ক্ষণ এ ভাবে থাকার পর ধীরে ধীরে উঠে বসলেই হবে। নিয়ম করে এই আসনগুলি করলে মন, মাথা এবং শরীর শান্ত থাকবে। ফিটও থাকবে খুদে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy