বেশি রাতে খাবার না খাওয়াই শ্রেয়। ছবি: সংগৃহীত।
অফিস থেকে ফিরতে রোজই দেরি হচ্ছে। বাড়ি ফিরে একটু বিশ্রাম নিয়ে স্নান সেরে খাবার টেবিলে বসতে বসতে ঘড়ির কাঁটায় রাত গভীর হচ্ছে। দু’-এক দিন নয়, অনেকেরই প্রায় দিনেরই রুটিন এটাই। ছুটির দিনেও নানা কারণে এবং অভ্যাসবশত সেই রাত গড়ালেই খাচ্ছেন। বিভিন্ন গবেষণা জানাচ্ছে, বেশি রাতে খাবার খাওয়ার অভ্যাসই নানা অসুখের অন্যতম কারণ। সপ্তাহে ৩-৪ দিন যদি এমন হয়ে থাকে, তা হলে ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে বলে মত চিকিৎসকদের। ইচ্ছায় হোক কিংবা অনিচ্ছায়, মধ্যরাতে খাবার খাওয়ার অভ্যাসে কোন সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে?
স্থূলতা
একে রাত করে খেতে বসেছেন, অন্য দিকে পাতে ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার। ওজন যে বাড়বে, তা নিয়ে কোনও সংশয় থাকার কথা নেই। স্থূলতার সমস্যার হাত ধরেই আবার শরীরে বাসা বাঁধবে ইউরিক অ্যাসিড, ডায়াবিটিসের মতো ক্রনিক রোগ।
হজমের গোলমাল
শুধু বাইরের খাবার খাওয়ার জন্য নয়, হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে রাত করে খাবার খেলেও। অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্যের সূত্রপাত সেখান থেকেই। দীর্ঘ দিন ধরে হজমের গোলমাল চলতে থাকলে একটা সময় মলাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।
ডায়াবিটিস়
রাতের খাবার দেরি করে খাওয়ার অভ্যাসে হতে পারে ডায়াবিটিস। বিশেষ করে কার্বোহাইড্রেট এবং চিনিযুক্ত খাবার যদি রাতে খাওয়া হয়, তা হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়াও প্রদাহজনিত নানা সমস্যাও জন্ম নিতে পারে এখান থেকে।
ঘুমে ব্যাঘাত
রাত করে খেলে ঘুমও সহজে আসতে চায় না। তখন অনিদ্রাজনিত রোগ হানা দেয়। সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। কম ঘুম হলে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। হরমোনজনিত নানা সমস্যাও দেখা দিতে থাকে তখন।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। দেরি করে রাতের খাবার খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলি নিয়ে চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy