কেকে ক্যানসারের রাসায়নিক? ছবি: ফ্রিপিক।
কেক থেকেও ক্যানসার হতে পারে? বিশ্বাস না হওয়াই স্বাভাবিক। কেক এখন যে কেবল জন্মদিন পালনের জন্য লাগে, তা নয়। যে কোনও উৎসব-অনুষ্ঠান, আনন্দ উদ্যাপন কেক না হলে ঠিক জমে না। সেই কেকেই নাকি পাওয়া গেল ক্যানসারের বিষ!
কর্নাটকের খাদ্য নিয়ামক সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, বেশ কয়েক রকম কেকের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে এমন রাসায়নিক, যা থেকে ক্যানসার হতে পারে। কেকের ক্রিমে যে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যেই পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন রকম রাসায়নিক উপাদান। শুধু তা-ই নয়, কেক দীর্ঘ দিন তাজা রাখতে তাতে এমন কিছু রাসায়নিক মেশানো হয়, যা মানুষের শরীরে ঢুকলে নানা রকম জটিল রোগের কারণ হতে পারে। খাদ্য নিয়ামক সংস্থার কর্তারা কর্নাটকের ১২টি বেকারিতে ঘুরে ২৩৫ রকম কেকের নমুনা পরীক্ষা করেন। যার মধ্যে অন্তত ১২টি কেকে ওই ধরনের রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি।
ফুড সেফটি অফিসার শ্রীনিবাস জানাচ্ছেন, রেড ভেলভেট, ব্ল্যাক ফরেস্টের মতো কেকে সানসেট ইয়েলো এফসিএফ, টার্ট্রাজ়িন, কারমোইসিনের মতো কৃত্রিম রং পাওয়া গিয়েছে, যা মানুষের শরীরের জন্য বিষ। সাধারণত স্থানীয় বেকারিগুলি এই ধরনের রং ব্যবহার করে বলে জানিয়েছেন শ্রীনিবাস। তা ছাড়া কেক সংরক্ষণ করে রাখতে নাইট্রেট ও নাইট্রাইটের মতো রাসায়নিকেরও প্রয়োগ হয়, যা পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
খাদ্য নিয়ামক সংস্থার আধিকারিকেরা আরও পরীক্ষা করে দেখেছেন, স্থানীয় বেকারিতে তৈরি কেকগুলিতে ব্লু ২, গ্রিন ৩, ইয়েলো ৩, ইয়েলো ৬, রেড ৩ নামে এমন কিছু কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়, যা শিশুদের শরীরে ঢুকলে মারাত্মক রকমের অ্যালার্জি সংক্রমণ ঘটবে। আর দিনের পর দিন এই সব রাসায়নিক শরীরে ঢুকলে থাইরয়েড, মূত্রথলি, কিডনির ক্যানসারের ঝুঁকি বহু গুণে বেড়ে যাবে।
রোডামাইন-বি নামে এক ধরনের কৃত্রিম রং খাবারে ব্যবহার করতে আগেই নিষেধ করেছিল কর্নাটক সরকার। কটন ক্যান্ডি, ফুলকপির মাঞ্চুরিয়ানের মতো খাবারে এই জাতীয় রং ব্যবহার করা হত। রাস্তার ধারের কবাব, তন্দুরিতেও কৃত্রিম রং মেশানোয় কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। এ বার বেকারিগুলিকেও সতর্ক করা হল। কেকের স্বাদ ও আকর্ষণ বাড়াতে যে কোনও রকমের কৃত্রিম রং, রাসায়নিক ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy