Advertisement
E-Paper

ওজন বেড়ে যাচ্ছে, আবার কোলেস্টেরলও বশে রাখতে পারছেন না? সমাধান রয়েছে কড়াইশুঁটিতে

এর মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় ডালের সমান। তাই প্রোটিনে ভরপুর কড়াইশুঁটি খাওয়া যায় মাছ, মাংসের পরিবর্তেও।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:২৭
Five reasons why matar or peas is a must in your winter diet.

কড়াইশুঁটি খাবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।

শীত এখনও তেমন ভাবে জাঁকিয়ে বসেনি। কিন্তু বাজারে কড়াইশুঁটি দেখা মিলতে শুরু করেছে। আলুর দম হোক কিংবা পোলাও— সবেতেই কড়াইশুঁটি দেওয়া যায়। শীতকাল জুড়ে কড়াইশুঁটির কচুরির আধিপত্য চলে বাড়িতে। এর মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় ডালের সমান। তাই প্রোটিনে ভরপুর কড়াইশুঁটি খাওয়া যায় মাছ, মাংসের পরিবর্তেও। নিরামিষভোজী না হলেও পুষ্টিবিদেরা এখন সকলকেই বেশি করে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খেতে পরামর্শ দেন। ভিটামিন, পটাশিয়াম, জ়িঙ্ক এবং ফাইবারের গুণে সমৃদ্ধ কড়াইশুঁটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

এ ছাড়া আর কোন কোন উপকারে লাগে কড়াইশুঁটি?

১) ক্যালোরির পরিমাণ কম

এক কাপ সেদ্ধ কড়াইশুঁটিতে ক্যালোরির পরিমাণ ৮১ এবং ফ্যাটের পরিমাণ ০.৪ গ্রাম। তাই ওজন ঝরানোর চেষ্টা করছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য কড়াইশুঁটি অত্যন্ত জরুরি। শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনের জোগান দেওয়ার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এই সব্জি।

২) উদ্ভিজ্জ প্রোটিন

যাঁরা প্রাণীজ প্রোটিন খেতে পারেন না, তাঁদের জন্য কড়াইশুঁটি বিশেষ ভাবে উপকারী। এ ছাড়াও সুস্থ থাকতে প্রতিদিন যেটুকু প্রোটিন খাওয়া প্রয়োজন, তার জন্য ইদানীং চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উপরই আস্থা রাখতে বলছেন।

৩) ফাইবারের পরিমাণ বেশি

অন্ত্র ভাল রাখতে ফাইবার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বার বার খিদে পাওয়ার প্রবণতা রুখে দিতে পারে ফাইবার। ফলে শরীরে বেশি মাত্রায় ক্যালোরি যাওয়ার প্রবণতা রুখে দেওয়া যায়।

Five reasons why matar or peas is a must in your winter diet.

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কড়াইশুঁটি সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।

৪) রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে

কড়াইশুঁটির গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক তুলনামূলক ভাবে কম। ডায়াবিটিস রোগীদের সব সময়ে এই ধরনের খাবার খেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাই আশা করা যায়, এই সব্জি খেলে রক্তে শর্করা ভারসাম্য বজায় থাকবে।

৫) হার্টের জন্যে ভাল

হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য খারাপ দু’টি যৌগ ‘ট্রাইগ্লিসারাইড’ এবং ‘ভিএলডিএল’-কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে ‘নিয়াসিন’। এই ‘নিয়াসিন’-এর প্রাকৃতিক উৎস হল কড়াইশুঁটি। তাই নিয়মিত কড়াইশুঁটি খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকতে পারে।

Winter Fresh Peas Healthy Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy