— প্রতীকী চিত্র।
কারও জীবনই সব সময়ে সরলরেখা ধরে চলে না। আবার অনেকেই মনে করেন, চলার পথে চড়াই-উতরাই না থাকলে বেঁচে থাকার কোনও মানেই হয় না। কিন্তু সকলের মানসিকতা তো সমান নয়, সব পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা সকলের থাকে না। প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন অনেক সময়ে। অন্যের সাফল্য দেখে আরও বেশি করে হতাশা গ্রাস করতেই পারে। মনে হতে পারে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর আর কোনও পথই নেই। ঠিক সেই সময়েই পেশাদার, দক্ষ মনোবিদের সাহায্য নেন অনেকে। তবে মনোবিদের সাহায্য নেওয়ার পাশাপাশি যদি নিজের জীবনে কিছু টোটকা মেনে চলতে পারেন, তা হলে কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়।
১) প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন
কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে গিয়ে একাকিত্বে ভোগেন অনেকেই। তবে মনোবিদেরা বলছেন, এই সময়ে কাছের কারও সঙ্গে কথা বললে মন অনেকটা হালকা হয়। অনেকেই ভাল-মন্দের বিভেদ করতে পারেন না। তখন দ্বিতীয় ব্যক্তির পরামর্শ নেওয়া যেতেই পারে।
২) নিজের যত্ন নিন
কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে গেলে শরীর এবং মনের সুস্থতা বজায় রাখা প্রয়োজন। তাই নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হবে। মন ভাল রাখতে মেডিটেশন করতে পারেন।
৩) সমাজমাধ্যম থেকে দূরে থাকুন
কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়ে অন্যের ভাল মুহূর্ত, সাফল্যের কাহিনি দেখতে বা শুনতে ভাল না-ই লাগতে পারে। মনোবিদেরা বলছেন, এই অভ্যাসে মানসিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। তাই সমাজমাধ্যমে থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
৪) ডায়েরি লিখুন
টেলিভিশন দেখতে ভাল লাগছে না। গান শুনেও মন শান্ত হচ্ছে না। সমাজমাধ্যমে ঘোরাফেরা করতেও বারণ করেছেন অভিজ্ঞরা। তা হলে করবেন কী? যা মনে হচ্ছে ডায়েরিতে লিখে ফেলুন। এই অভ্যাস নিজেকে বুঝতে, অশান্ত মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
৫) শখ-শৌখিনতাকে গুরুত্ব দিন
কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে থাকলে কোনও কিছুর প্রতি মনকে আটকে রাখা মুশকিল। প্রথম দিকে অসুবিধে হলেও ছোটবেলার হারিয়ে যাওয়া শখ-শৌখিনতার প্রতি মন বসাতে পারলে, কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy