গাঁটে যন্ত্রণা, গোড়ালিতে কিংবা নানা অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে ব্যথা— এই সব শারীরিক অসুবিধা অনেকের কাছেই নতুন নয়। কর্মব্যস্ত জীবন এবং খাওয়াদাওয়ায় ব্যাপক অনিয়ম যে সব অসুখ ডেকে আনছে, তার মধ্যে অন্যতম হল রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। খাবার হজমের পর শরীরে এই অ্যাসিড তৈরি হয়। মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন খেলে বা ওজন বেড়ে গেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শরীরের অস্থিসন্ধি ও মূত্রনালিতে জমা হতে শুরু করে। জমতে থাকা ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টালের আকার নেয়। এটি গাঁটে ব্যথা ও প্রস্রাবের সংক্রমণ ডেকে আনে। এ ছাড়া, শরীরে এই অ্যাসিড বেশি মাত্রায় জমতে শুরু করলে কিডনিতে পাথরও জমতে পারে। লিভারেও সমস্যা দেখা যায়। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি, এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা জরুরি। ইউরিক অ্যাসিডের ক্ষেত্রে কিছু সব্জি আবার বিপজ্জনক। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা যাঁদের বিপদসীমার কাছে চলে এসেছে, টম্যাটো তাঁদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক, এ তথ্য অনেকেরই জানা। এ ছাড়াও কিন্তু এমন বেশ কিছু সব্জি আছে, যা অজান্তেই বাড়িয়ে দিতে পারে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। জেনে নিন, কোন কোন সব্জি রাখবেন বাদের তালিকায়।
পালংশাক: পালং শাকের স্বাস্থ্যগুণের শেষ নেই। তবে এই শাকও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের বন্ধু নয়। পালং শাকে থাকা মাত্রাতিরিক্ত পিউরিন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
ঢেঁড়স: এমনিতে ঢেঁড়স স্বাস্থ্যকর। তবে ইউরিক অ্যাসিড থাকলে এই সব্জি কম খাওয়াই ভাল। ঢেঁড়সে রয়েছে অক্সালেটস, যা ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তাই ইউরিক অ্যাসিড থাকলে ঢেঁড়স খেলে অসুস্থতা বাড়তে পারে।
মাশরুম: মাশরুমও কম উপকারী নয়। তবে ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের মাশরুম না খাওয়াই শ্রেয়। মাশরুমে ভাল মাত্রায় পিউরিন থাকে, যা ভেঙে গিয়ে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
ব্রকোলি: শরীরের যত্ন নেয় ব্রকোলি। কিন্তু এই সব্জিতে থাকা পিউরিন রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই সমস্যা থাকলে ব্রকোলি এড়িয়ে চলাই ভাল।
কড়াইশুঁটি: এমনিতে কড়াইশুঁটি প্রোটিনে ভরপুর একটি সব্জি। তবে ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের এই সব্জি থেকে দূরে থাকাই ভাল।