জিমে না গিয়েও ঝরবে ওজন। ছবি: শাটারস্টক।
নতুন বছরে অনেকেই ফিট থাকার প্রতিজ্ঞা করে ফেলেছেন। ফিট থাকতে গেলে জিমে যেতে হবে। আর জিমে গিয়ে শরীরচর্চার করার জন্য চাই সময়। কর্মব্যস্ত জীবনে জিমে যাওয়ার জন্য সময় বার করতে পারেন না অনেকেই। নতুন বছরের শুরুর দিকে জিমে ভর্তি হলেও খুব বেশি দিন জিম-গমন ঘটে ওঠে না অনেকের পক্ষেই। জিমে না গিয়েও কিন্তু ফিট থাকা যায়, এমনকি রোগাও হওয়া যায়। এর জন্য জীবনে কয়েকটি বদল আনা জরুরি। তবে এক মাস বদল আনলেন, কিন্তু তার পরেই আগের মতো অনিয়ম শুরু করে দিলেন, এমনটা করলে চলবে না। ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে তবেই পাবে সঠিক ফল। জেনে নিন, জিমে না গিয়েও কী ভাবে ফিট থাকবেন?
১) ওজন বাড়লেই শরীরে হাজারটা রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই ফিট থাকতে নিয়ম করে শরীরচর্চা কিন্তু করতেই হবে। জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে না চাইলে সকালে শরীরচর্চার জন্য আধ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ রাখুন। বাড়িতেই কার্ডিয়ো ব্যায়াম করুন। এ ছাড়া, নিয়ম করে হাঁটাহাঁটি, সাইক্লিং, জগিংও করতে পারেন। ওজন কমাতে যোগাসনেও ভরসা রাখতে পারেন। শরীর যত সচল থাকবে, হজম প্রক্রিয়াও ততই ভাল হবে, ওজনও বাগে থাকবে।
২) নতুন বছরে ডায়েট থেকে চিনি বা মিষ্টি একেবারেই বাদ দিয়ে দিন। ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল শর্করা। ডায়েটে শর্করার মাত্রা কমিয়ে আনলেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ফলে সকালে চিনি দেওয়া দুধ চা, দুপুরে খাওয়ার পর মিষ্টিমুখ, রাত জেগে সিনেমা দেখার সময়ে কেক, চকোলেট খাওয়া— এই সব অভ্যাস বন্ধ করুন।
৩) ডায়েটে ফাইবার বেশি করে রাখতে হবে। খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বাড়ালে হজমপ্রক্রিয়া ভাল হয়। খাবার ভাল হজম হলে মেদ কম জমে শরীরে। ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট আর ফ্যাটের মাত্রা কমিয়ে প্রোটিন বেশি করে রাখুন।
৪) মানসিক চাপের কারণেও কিন্তু ওজন বেড়ে যায়। আর মানসিক চাপ কমাতে ঘুম ভীষণ জরুরি। রাত জাগার অভ্যাস থাকলে তাতে বদল আনুন। শরীর চাঙ্গা রাখতে দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুম পূরণ করতেই হবে। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে সকালে তাড়াতাড়ি ওঠার অভ্যাস করুন।
৫) প্রাতরাশ নিয়ম করে করতেই হবে। প্রাতরাশে ফাঁকি দিলে চলবে না। সারা দিন অল্প করে খাবার বার বার খাওয়ার অভ্যাস করুন। রাতের খাওয়া ৮টার আগে সেরে ফেলতে পারলে খুব ভাল। তা না করতে পারলে খাওয়ার অন্তত দু’ থেকে তিন ঘণ্টা পর ঘুমোতে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy