শিশু বাড়ির খাবার বিশেষ পছন্দ করে না। বাইরের চপ-কাটলেট, ভাজাভুজিতেই রুচি বেশি। প্রক্রিয়াজাত খাবার, জ়াঙ্ক ফুড পেলে আর কিছু চায় না। কর্মব্যস্ততায় অনেক সময়ে মা-বাবারাও বাইরের খাবার কিনে দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকেন। এতে যেমন পুষ্টির ঘাটতি হয়, তেমনই নানা অসুখবিসুখ ধরে যায় ছোট থেকেই। তাই শিশুকে এমন কিছু খাওয়াতে হবে যা স্বাদে ভাল এবং স্বাস্থ্যেও। এখন নানা ধরেনর প্রোটিন বার পাওয়া যায় বাজারে। অনেক মা-বাবাই সেগুলি কিনে খাওয়ান ছোটদের। কিন্তু কেনা প্রোটিন বারে এমন অনেক অনেক জিনিস মেশানো থাকে যা ছোটদের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। তাই প্রোটিন বারের বদলে সন্তানের জন্য বাড়িতেই বানিয়ে দিন ‘নিউট্রিশন বার’। এতে প্রোটিনের চাহিদাও মিটবে, শরীরে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানগুলির ঘাটতিও পূরণ হবে।
নিউট্রিশন বার কী ভাবে বানাবেন?
নিউট্রিশন বার অনেক রকম ভাবেই বানানো যায়। ওট্স, গ্র্যানোলা, বার্লি ও নানা সিরিয়াল এবং বিভিন্ন ধরনের বাদাম দিয়ে তৈরি এই ধরনের এক-একটি বার মোটামুটি ২০০-৩০০ ক্যালোরি এনার্জি, ৩-৯ গ্রাম ফ্যাট, ৭-১৫ গ্রাম প্রোটিন এবং ২০-৪০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেটের জোগান দিতে পারে।
উপকরণ:
১ কাপ ওট্স
আধ কাপ পিনাট বাটার
আধ কাপ মধু
২ চামচ চিয়া বীজ
আধ কাপ নানা রকম বাদাম কুচনো (কাঠবাদাম, আখরোট, পেস্তা)
আধ কাপ নানা ধরনের বীজ কুচনো (সূর্যমুখী, তিসি, কুমড়োর বীজ ইত্যাদি)
এক চিমটে দারচিনির গুঁড়ো
আরও পড়ুন:
প্রণালী:
একটি বড় পাত্রে ওট্স, কুচিয়ে রাখা বাদাম, কুচিয়ে রাখা বীজগুলি একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। ওট্স মিক্সিতে গুঁড়িয়ে নিতে পারলে ভাল হয়। এতে বার তৈরি করতে সুবিধা হবে। এ বার অন্য একটি পাত্রে পিনাট বাটার এবং মধু ভাল করে মেশান। মধুর বদলে ম্যাপল সিরাপও নিতে পারেন। মিশ্রণটি অল্প আঁচে গরম করুন যাতে আঠালো তরল তৈরি হয়। এতে সামান্য ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট মেশাতে পারেন। এ বার ওট্স এবং বাদাম বীজের উপরে আঠালো তরল ঢেলে দিন। চামচ দিয়ে ভাল করে মেশান যত ক্ষণ না শুকনো উপকরণগুলি ভাল করে মধু ও মাখনে মিশে যায়। এর পর চাইলে ডার্ক চকোলেট গুঁড়িয়ে বা চোকো চিপস তাতে মিশিয়ে দিতে পারেন।
আরও পড়ুন:
বেকিং প্যানে পার্চমেন্ট পেপার বা বাটার পেপার বিছিয়ে দিন। মিশ্রণটি প্যানে ঢেলে দিন। চামচ দিয়ে গোটা প্যানে চেপে চেপে মিশ্রণটি সেট করে দিন। এর পর ফ্রিজে রেখে দিন ২-৩ ঘণ্টার জন্য। মিশ্রণটি শক্ত হয়ে বসে গেলে বাটার পেপার তুলে ছুরি দিয়ে পছন্দের মাপে বারগুলি কেটে নিন।