কিটো থেকে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (নির্দিষ্ট সময়ান্তরে খাবার খাওয়া), বিভিন্ন ডিটক্স পানীয়— সমাজমাধ্যমের দৌলতে প্রতি দিন নতুন নতুন ডায়েট পদ্ধতি চর্চায় চলে আসে। আগাপাশতলা না বুঝেই অনেকে অন্ধ ভাবে তা অনুসরণ করতে শুরু করেন। আর তার পরেই হিতে বিপরীত কাণ্ড ঘটে।
আরও পড়ুন:
কী কী সমস্যা
‘ভাইরাল’ ডায়েট অনুসরণ করে উপকৃত হওয়ার ঘটনা যেমন প্রকাশ্যে আসে, তেমনই এই ধরনের ডায়েটের ফলে ক্ষতির পরিমাণ নিয়েও চর্চা হয়।
১) পুষ্টিবিদেরা জানিয়েছেন, না বুঝে কোনও ডায়েট অনুসরণ করার ফলে মানসিক অবসাদ বাড়তে পারে। কারণ কোনও একটি নির্দিষ্ট ডায়েট নিয়ে ব্যক্তি এত বেশি মনোযোগী হয়ে ওঠেন, যে তা কখনও কখনও অবসাদের পর্যায়ে যেতে পারে।
২) সাধারণত বাড়তি মেদ কমাতে বা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে অনেকে ডায়েট করেন। কিন্তু নিজে থেকে কোনও ডায়েট না শুরু করে, সুষম আহার করা উচিত। তাতে ওজন নিয়ন্ত্রণ হবে, বাড়তি জটিলতা তৈরি হবে না।
৩) না বুঝে কোনও ডায়েট পরিকল্পনা অনুসরণ করলে দেহে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের অভাব তৈরি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ফলের রস বা কাঁচা খাবার খাওয়ার প্রবণতা দেহের ক্ষতি করতে পারে।
৪) অনেক সময় কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার পেটের সমস্যা তৈরি করে। পরিস্থিতি জটিল হলে ডায়েরিয়া পর্যন্ত হতে পারে। আবার কোনও কোনও ডায়েটের ক্ষেত্রে পেট ফাঁপার সমস্যাও তৈরি হতে পারে।
৫) যে কোনও ডায়েট শুরুর আগে নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত। সেই মতো কোনও পুষ্টিবিদের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার। ডায়েট কত দিন করা উচিত, সে সম্পর্কেও পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নেওয়া উচিত।