পুজো শেষে ওজন ঝরান খাবার খেয়েই। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো শেষে উৎসবের রং অনেকখানি ফিকে হয়েছে। উত্তেজনা, উন্মাদনা কিছুটা হলেও স্তিমিত। এ বার পুরনো রুটিনে ফেরার পালা। পুজোর পাঁচ দিন রেস্তরাঁয় গিয়ে দেদার ভূরিভোজ আর রাত জেগে ঠাকুর দেখে শরীরের অবস্থা কিছুটা বেহাল বটেই। মনে উৎসবের রেশ থাকলেও শারীরিক ভাবে যত দ্রুত সম্ভব চাঙ্গা হয়ে উঠতে হবে। তার জন্য খাওয়াদাওয়ায় একটা বদল আনা জরুরি। উৎসবের মরসুমে বেলাগাম খাওয়াদাওয়ায় ওজন খানিকটা হলেও বেড়েছে। খাওয়াদাওয়ার রুটিনে খানিকটা পরিবর্তন না আনলে ওজন ধরে রাখা মুশকিল হবে। পুজোর অনিয়ম আর দেদার হুল্লোড় শেষে দ্রুত ফিট হতে কোন খাবারগুলি বেশি করে খাবেন?
ফল
তেল-মশলদার খাবার দূরে সরিয়ে রেখে বেশি করে ফল খান। ফলে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো স্বাস্থ্যকর সব উপাদান। এগুলি হজমশক্তি উন্নত করে। হজমের গোলমাল হতে দেয় না। তা ছাড়া শরীরের অন্দরে থাকা যাবতীয় দূষিত পদার্থ শোষণ করে নেয় ফল। একই সঙ্গে খেয়াল রাখে চুল এবং ত্বকেরও।
দই
উৎসবের শুরু কিংবা শেষে টক দই খাওয়ার অভ্যাস থাকলে শরীর নিয়ে ভাবনাচিন্তার দরকার পড়ে না। দইয়ে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ব্যাক্টেরিয়া। যা যে কোনও রকম সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রোবায়োটিক উপাদান সমৃদ্ধ দই শরীর থেকে টক্সিন বাইরে বার করে দেয়।
লেবু
উৎসব শেষে খালি পেটে খান লেবুজল। উপকার পাবেন। ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে শরীরের অন্দরে জমে থাকা টক্সিন বাইরে বেরিয়ে আসবে। তা ছাড়া শরীরের বাড়তি মেদও ঝরে যাবে এই পানীয় খেলে। হজমশক্তিও উন্নত হবে।
রসুন
রান্নায় বেশি মশলা দেওয়া বন্ধ করলেও রসুন খান নিয়ম করে। বাইরের খাবার খেলে তার প্রভাব পড়ে লিভারের উপর। রসুন লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারী। রসুন কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
গ্রিন টি
চিনি দেওয়া দুধ চা কিংবা কফির বদলে পুজোর পরে ভরসা রাখুন গ্রিন টি-এর উপর। এই চায়ে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। তা ছাড়া গ্রিন টি বিপাকহারের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং বাড়তি ওজন ঝরাতেও সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy