অনেক সময় দেখা যায় খুব বেশি মানসিক চাপে থাকলে আমাদের অনেকের মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
কেন আমরা খিদে না থাকলেও খাই খাই করি বলুন তো? চলতি কথায় এটাকে বলে থাকি চোখের খিদে। আবার কখনও কখনও এমনটা হয় যে, কোনও একটা বিশেষ খাবার খেতে খুব ইচ্ছে করছে। কোন খাবার খেতে ইচ্ছে করছে তা আসলে নির্ভর করে আমাদের শরীরের উপর। ব্যাপারটা মোটেও চোখের খিদে নয়। প্রতিটা বিশেষ স্বাদের সঙ্গেই যোগ রয়েছে আমাদের শরীরের কোনও না কোনও অঙ্গের। অনেক সময় দেখা যায় খুব বেশি মানসিক চাপে থাকলে আমাদের অনেকের মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তবে সারা ক্ষণ যদি মিষ্টি খাই খাই করি তা কিন্তু মোটেই স্বাভাবিক নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে বিশেষ কিছু পরিবর্তন এলে আমাদের মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
১) শরীরে কার্বহাইড্রেটের মাত্রা বেশি হলে
আমাদের রোজের ডায়েটে প্রোটিন, কার্বহাইড্রেট ও ফ্যাটের ভারসাম্য বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। বেশি মাত্রায় কার্বহাইড্রেট শরীরে প্রবেশ করলে ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়ে। এর ফলে আরও কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ইচ্ছা হয়। আর যত ক্ষণ না পর্যন্ত একটা প্রমাণ সাইজের কালো জাম মুখের মধ্যে ফেলছেন, তত ক্ষণ শান্তি পান না।
২) ঘুমের অভাব
পর্যাপ্ত মাত্রায় ঘুমালে তবেই শরীরে বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। লেপটিন নামক হরমোন শরীরে ঠিক কোন খাদ্যটা কতটা প্রয়োজন, কোন খাদ্যটা আর খেতে ইচ্ছে করছে না— এই সবের মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে এই হরমোনের উৎপাদন মাত্রা কমে যায়। ফলে ভাজাভুজি, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
৩) মানসিক চাপ
মানসিক উদ্বেগ ও চাপের কারণে শরীরে কর্টিসল নামক হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোন ইনসুলিনের ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করে। তাই চিনিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে হয়।
৪) খনিজের ঘাটতি
পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্রোমিয়াম ইত্যাদি খনিজের অভাব ঘটলেও মিষ্টি খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy