হার্টের যত্ন নিতে মনে রাখুন কিছু কথা। ছবি: সংগৃহীত।
আধুনিক জীবনযাত্রায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে হার্টের উপরে। বাইরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস, শরীরচর্চা না করা, তেল-মশলাদার খাবারের প্রতি অত্যধিক ভালবাসা, মদ্যপানের অভ্যাস— হার্টের অসুখের নেপথ্যে এই কারণগুলিই রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ ‘হু’-র সমীক্ষা জানাচ্ছে, স্থূলতা, ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলের মতো ক্রনিক রোগের হাত ধরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হৃদ্রোগ। হৃদ্য়ের যত্ন নিতে একটু সচেতন হওয়া জরুরি। ব্যস্ততার কারণে অনেকেই নিজের যত্ন নিতে অবহেলা করেন। সুস্থ থাকতে সেটা করলে চলবে না। নতুন বছর থেকে নতুন ভাবে খেয়াল রাখুন হৃদ্যন্ত্রের।
শরীরচর্চা
কাজ, ব্যস্ততা থাকবেই। তবু তার মধ্যে কিছুটা সময় শরীরচর্চার জন্য বরাদ্দ রাখুন। শরীরচর্চা মানেই জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে হবে, তা নয়। হাঁটাহাঁটি করলে কিংবা যোগাসনও করতে পারেন। সাঁতার কাটতে পারলেও ভাল। তবে হার্টের কোনও সমস্যা থাকলে কোন ধরনের শরীরচর্চা করবেন, সে বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে পারেন।
ফ্যাট একেবারে বাদ দেবেন না
ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ফ্যাটজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলেন অনেকেই। তবে হার্টের যত্নে কিন্তু ভরসা রাখতে পারেন উপকারী ফ্যাটের উপর। কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের সঙ্গে সমতা রেখে ফ্যাটও খেতে হবে। তবে হার্টের জন্য কতটা পরিমাণ ফ্যাট খাবেন, সে বিষয়ে চিকিৎসকই শেষ কথা বলবেন।
কোলেস্টেরেল কমান
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখলে হার্ট অনেকটা সুস্থ রাখা যায়। কোলেস্টেরল যাতে না বা়ড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন। নারকেল তেল, রেডমিট, বাইরের খাবার কম খান। এ সব খাবার কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। স্থূলতা ডেকে আনে। সরাসরি চাপ পড়ে হার্টে।
নুনের সঙ্গে হোক আড়ি
হার্টকে সুস্থ রাখতে খাবারে নুন খাওয়া কমিয়ে ফেলুন। যতটা নুন খেতেন দিনে, তা থেকে দু-গ্রাম অন্তত কম খাওয়া শুরু করুন। নুন খাওয়া যত কমাবেন, হার্ট তত ভাল থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy