প্রতীকী ছবি
পাকা কলা খেতে অনেকেই ভালবাসেন। কিন্তু কাঁচকলার কথা উঠলেই যেন বিশেষ ভাল লাগে না। কিন্তু কাঁচকলার পুষ্টিগুণ একাধিক। অনেকে কাঁচকলা পছন্দ না করলেও এর মধ্যে থাকা ভিটামিন, খনিজ এবং শর্করার উত্স শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত যদি পাতে একটি করে কাঁচকলা থাকে, তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি আপনি থাকবেন অনেক রকম রোগ-ব্যাধি থেকে দূরে।
১। কাঁচকলা অন্ত্রের ব্যাক্টিরিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটিতে প্রতিরোধী স্টার্চ রয়েছে, এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট যা পাচনতন্ত্রে অন্ত্র-বান্ধব জীবাণুগুলির বৃদ্ধির জন্য খাদ্য হিসাবে কাজ করে। এটি শর্ট-চেন ফ্যাটি অ্যাসিড উৎপাদনও বাড়াতে পারে, যা হজমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে আলসারেটিভ কোলাইটিস এবং অ্যান্টিবায়োটিক-সম্পর্কিত ডায়রিয়ার চিকিত্সায় কাঁচকলা খেতে পরামর্শ দেন অনেক চিকিৎসক।
২। কাঁচকলার উচ্চ ফাইবার উপাদান কোলেস্টেরল ঠিক করতেও সাহায্য করে। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে। কাঁচা এবং পাকা কলার মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল যে, সবুজ কলায় কার্বোহাইড্রেটগুলি প্রধানত স্টার্চের আকারে থাকে। কলা পাকার প্রক্রিয়ার সময়ে ধীরে ধীরে যা চিনিতে পরিণত হয়। সে কারণে বেশির ভাগ মানুষ পাকা কলা খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু কাঁচকলা ডায়াবিটিসের জন্য খুবই উপকারী।
৩। কাঁচকলা আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এটি পটাশিয়ামের চমৎকার উৎস। পটাশিয়াম একটি অত্যাবশ্যক খনিজ, যা পেশীকে সঙ্কুচিত করতে এবং হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনে সাহায্য করে। কাঁচা কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
৪। কিডনির সমস্যাতেও কাঁচকলা বিশেষ কাজে লাগে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কাঁচকলায় থাকা পটাশিয়াম এবং অন্যান্য দরকারি ভিটামিন কিডনির ক্রিয়াকে সুচারু ভাবে চালিয়ে নিয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy