করোনা চলে গেলেও নিশ্চিন্ত থাকা যাচ্ছে না। একের পর এক ভাইরাসের আগমন হচ্ছে। আবারও হাজির এক আতঙ্ক, নাম তার ‘এমপক্স’। যা বিশ্ব জুড়ে পরিচিত ‘মাঙ্কিপক্স’ নামে। পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়েছিল আগেই। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সতর্ক করে জানিয়েছে, আমেরিকার নানা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্সের নতুন এক উপরূপ ‘ক্লেড ১’। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় ইতিমধ্যেই আক্রান্ত বহু। তা ছাড়া আরও নানা দেশে এমপক্স ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর।
২০২২ সালে মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্ক করেছিল হু। ফের একবার সতর্কতা জারি হয়েছে। একটা সময়ে মূলত পূর্ব, পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই রোগ সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমানে বিশ্বের আরও দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এমপক্স পশুবাহিত ভাইরাস। পশুর দেহ থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়। রোগের উপসর্গ অনেকটা চিকেন পক্সের মতোই। সারা শরীরে ছোট-বড় র্যাশ, ফুস্কুড়ি, জলফোস্কার মতো পড়ে। তবে মাঙ্কিপক্সের ক্ষেত্রে আরও এক লক্ষণ দেখা দেয়, তা হল শরীরের গ্রন্থিগুলি ফুলে ওঠে, রক্ত সঞ্চালনে বাধা তৈরি হয়। সারা শরীরের পেশিতে ব্যথা বাড়ে, অবসাদেও আক্রান্ত হতে পারেন রোগী।
আরও পড়ুন:
করোনার মতোই এমপক্স ছোঁয়াচে। সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি, থুতু-লালা বা দেহরস থেকে দ্রুত সংক্রমণ ঘটতে পারে।শ্বাসনালি, ক্ষতস্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমেও এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। আক্রান্তের ব্যবহার করা পোশাক-পরিচ্ছদ থেকেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। মাঙ্কিপক্সকে প্রতিরোধ করার কোনও ওষুধ বা টিকা এখনও পর্যন্ত নেই। ভাইরাস প্রতিরোধী চিকিৎসা করে রোগীর নিরাময়ের চেষ্টা করা হয়। পক্সের জন্য কার্যকরী টিকা দিলেও কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণ রোখা যায়।
গত বছর ভারতের নানা জায়গায় মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। বিশেষ করে কেরলে ছড়িয়ে পড়েছিল এই ভাইরাসঘটিত রোগ। ফের এই ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠায় কপালে ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।