এক কোয়া রসুন শরীর সুস্থ রাখার চাবিকাঠি বলে মনে করেন বলিউড অভিনেত্রী সোহা আলি খান। দিন শুরু করেন তিনি রসুন চিবিয়ে।পুষ্টিবিদেরাও বলছেন, রসুনের গুণ নেহাত কম নয়। কিন্তু কতটা খাবেন, তারা মাত্রা খাকা দরকার। না হলেই, হিতে বিপরীত হতে বাধ্য।
রসুনের তীব্র গন্ধের কারণ হল অ্যালিসিন। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রসুনের মধ্যে ‘অ্যালিসিন’ নামক যে উপাদান রয়েছে, সেটিই রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে আচমকা স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকিও কমে। অ্যালিসিন অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান এবং শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট।
আরও পড়ুন:
এই কারণে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক এবং পরজীবীদের সঙ্গে মোকাবিলা করতে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে রসুন খাওয়ার চল বেশ পুরনো। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাঁদের জন্য রসুন খুবই উপকারী। কিন্তু ভাল বলেই তা বেশি খাওয়া যায় না। কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেতে হলে বা চায়ের মতো খেতে হলে ২-৩ কোয়াই যথেষ্ট।
পুষ্টিবিদেরা সতর্ক করছেন, কাঁচা রসুন বেশি খেলে বা প্রতিটি রান্নায় দেদার রসুন যোগ করলেই যে স্বাস্থ্যের জন্য তা ভাল, এমন না-ও হতে পারে। রসুন খাওয়ায় রাশ টানবেন কারা?
গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থাকলে
মাংস খেলেই অনেকের গ্যাস হয়ে যায়। বেশি তেল-মশলা দিয়ে রান্না করা বলেই বোধ হয় এমন হয়, অনেকের তেমনটাই মনে হয় প্রাথমিক ভাবে। ‘লোয়ার ইসোফেগাল স্ফিংটার’ নামক একটি মাংসপেশিকে শিথিল করে তোলে রসুনের মধ্যস্থ উপাদান। যার ফলে পাকস্থলি নিঃসৃত অ্যাসিড খাদ্যনালীতে ঢুকতে পারে না। সেটি যেতে না পেরে উপরের দিকে উঠে আসে। ফল হিসেবে বুক জ্বালা, বমিভাবের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
রক্ত তরলের ওষুধ যাঁরা খান: রসুনে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। সে কারণে হার্টের রোগীদের জন্য তা ভাল। তবে রক্ত তরল করার ওষুধ যাঁরা খান, তাঁদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার প্রবণতা ক্ষতিকর হতে পারে। রক্তপাত হলে তা আটকানো মুশকিল হয়ে যেতে পারে।
হজমে সমস্যা: রসুনে ফ্রুক্টেন নামে এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট মেলে, যা সকলের সহ্য হয় না। যার ফলে পেটফাঁপা, গ্যাস, পেটের সমস্যা হতে পারে।
রক্তচাপ: নিম্ন রক্তচাপের প্রবণতা থাকলেও অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার প্রবণতা ক্ষতিকর হতে পারে। ফলে যাঁদের রক্তচাপ কমের দিকে থাকে, তাঁদের বেশি রসুন না খাওয়াই ভাল।