চাউমিন খান নিয়ম মেনে। ছবি: সংগৃহীত।
ছুটির দিনের সকাল কিংবা অফিস ফেরত সন্ধে— সস্ মাখানো ধোঁয়া ওঠা চাউমিন পেলে সমস্ত মনখারাপ, ক্লান্তি একেবারে দূরে চলে যায়। স্কুলের টিফিন বাক্স খুলে বাড়ির খুদে যদি দেখে ভিতরে ঠাসা চাউমিন, তার মুখটাও ঝলমলে হয়ে ওঠে।
আট থেকে আশি— চাউমিনের প্রতি ভালবাসা কমবেশি সকলেরই আছে। তা ছাড়া বানানোর বিশেষ ঝক্কি নেই। আগে থেকে তেমন প্রস্তুতিরও দরকার পড়ে না। চটজলদি এমন সুস্বাদু খাবার তাই রোজই খেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু তাতে কি শরীর ভাল থাকে? নুডল্সের প্রতি বেশি ভালবাসা কী কী শারীরিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে?
উচ্চ রক্তচাপ
ইন্সট্যান্ট নুডল্স-এ সোডিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে প্রায় দিনই এই খাবার খেলে রক্তে সোডিয়ামও বাড়তে থাকে। এই সো়ডিয়ামের কারণেই রক্তচাপ বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ আবার হার্টের অসুখের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তা ছাড়া শরীরে সোডিয়াম বেশি হয়ে গেলে, জলের পরিমাণ কমে গিয়ে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও হয়।
পুষ্টির ঘাটতি
নুডলসে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ একেবারেই কম। মিনারেল্স, ভিটামিন, ফাইবারের মতো উপাদান নুডল্সে না থাকায়, খিদে মেটানো এই খাবার খেলে শরীর পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হয়। পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
ওজন বেড়ে যাওয়া
অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে ইন্সট্যান্ট নুডল্স। এই ধরনের ফ্যাট ওজন বাড়িয়ে দিতে ওস্তাদ। তা ছাড়াও হার্টের অসুখ, কোলেস্টেরলের মতো রোগের জন্যেও দায়ী ফ্যাট। সুস্থ জীবনযাপন করতে নুডল্স খাওয়ার অভ্যাসে একটু রাশ টানা জরুরি।
হজমের গোলমাল
ঘন ঘন নুডল্স খেলে বিপাকহার কমে যায়। হজমপ্রক্রিয়া ধীর হয়। যে কোনও খাবার দ্রুত হজম করার শক্তি তলানিতে এসে ঠেকে। এই সমস্যার হাত ধরেই ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের জন্ম হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy