জ্বালাপোড়া গরমে জলে গা ভাসিয়ে থাকতেই বেশি আরাম লাগছে। সুইমিং পুলে দীর্ঘ সময়ে ডুবে-ভেসে থেকে স্বস্তি খুঁজছেন যাঁরা, তাঁদের কিন্তু ত্বক ও চুলের কথাও ভাবতে হবে। গরমে পুলের জল যতই আকর্ষণীয় হোক না কেন, তাতে যে পরিমাণে ক্লোরিন থাকে তা কিন্তু শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। যত খুশি সাঁতার কাটুন, কিন্তু চুল থেকে ক্লোরিন কী ভাবে দূর করবেন, সে উপায়ও জেনে রাখা ভাল।
ক্লোরিন থেকে চুল বাঁচাবেন কী ভাবে?
জল পরিষ্কার রাখতে ক্লোরিন ব্যবহার করা হয় সুইমিং পুলে। ক্লোরিন জীবাণুনাশক, কিন্তু তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। দীর্ঘ সময় ধরে মাথার ত্বকে ক্লোরিন ঢুকলে চুলের গোড়া পচে যাবে। মাথার ত্বকে চুলকানি, র্যাশও হতে পারে। অনেক সময়ে ক্লোরিন থেকে অ্যালার্জি হয়ে মাথার ত্বকে এগজ়িমার মতো চর্মরোগও দেখা দিতে পারে।
সুইমিং ক্যাপ
জলের নামার সময়ে অবশ্যই সুইমিং ক্যাপ পরে নিতে হবে। একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পুলে থাকবেন না। সাঁতার কাটতে হলে ৩০ মিনিট পরে উঠে এসে ভাল করে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুন:
চুল বেঁধে জলে নামুন
চুল খোলা রেখে জলে না নামাই ভাল। লম্বা চুল ভাল করে বেঁধে নিয়ে তার পর জলে নামুন। চুল খোলা রাখলেই ক্লোরিন জমে চুলের গোড়া দুর্বল করে দেবে। চুল পড়ার সমস্যা বাড়বে।
সাঁতারের পরে স্নান
সুইমিং পুল থেকে ওঠার পরেই ভাল করে স্নান করে নিতে হবে। সালফেট-ফ্রি শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে স্নান করলে ক্লোরিন উঠে যাবে।
হেয়ার স্প্রে
জলে নামার আগে ও জল থেকে ওঠার পরে হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করলে চুল নষ্ট হবে না। এই স্প্রে বানিয়ে নিতে পারেন বাড়িতেই। ঈষদুষ্ণ জলে গ্রিন টি ব্যাগ ভিজিয়ে রাখুন। জল ঠান্ডা হলে মিশিয়ে নিন সম পরিমাণ চাল ভেজানো জল। দু’টি উপকরণ স্প্রে বোতলে মিশিয়ে নিন। এই স্প্রে বোতল সঙ্গে রাখুন। আরও একটি পদ্ধতি আছে। ক্যামোমাইল চা তৈরি করে ঠান্ডা করে নিন। এতে দিন কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল। মিশ্রণটি স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। পুল থেকে ওঠার পরে এই স্প্রে করে ৩০ মিনিট মতো থেকে চুলে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
হেয়ার মাস্ক
সুইমিং পুলে ঘন ঘন নামলে চুলের ক্ষতি হবেই। সে জন্য একটি হেয়ার মাস্ক বানিয়ে রাখুন বাড়িতেই। একটি কাঁঠালি কলা চটকে নিন। তাতে মেশান ২ চা-চামচ অলিভ অয়েল। এর মধ্যে ভেঙে দিন ১টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল। এই তিন উপকরণ মিশিয়ে নিয়ে চুলে মেখে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন।