উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রবীণদের মধ্যে তো বটেই কমবয়সিদেরও এই সমস্যা ক্রমবর্ধমান। সুষম খাবারের অভাব, অবসরের পরে শরীরচর্চা না করা ইত্যাদি নানা কারণ রয়েছে এর পিছনে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। তাই সাবধান হওয়া জরুরি।
চিকিৎসকেরা বলছেন, খাওয়াদাওয়ায় সংযম জরুরি। যদি খুব বেশি ভাজাভুজি বা তেলমশলা দেওয়া খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে, ধূমপান বা মদ্যপান বেশি করেন কেউ বা অতিরিক্ত মানসিক চাপে ভোগেন, তা হলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে। তখন কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ খেতেই হবে। কিন্তু যদি রোজের যাপনে কিছু নিয়ম মেনে চলা যায়, তা হলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।
তাই কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। রোজকার ডায়েটে অদলবদল করতে হবে। কী কী নিয়ম মানবেন?
সুষম আহার
গোটা শস্য, প্রচুর পরিমাণ শাক-সবজি, ফল রাখতে হবে ডায়েটে। বিভিন্ন শস্যদানা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে উপকারী। শস্যে পুষ্টি এবং খনিজ পদার্থ থাকে যা উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে সৃষ্ট সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিভিন্ন রকম ফল খান। কারণ, ফলে ক্যালরি কম এবং পুষ্টিগুণ বেশি। কিছু ফল আবার ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি-র মতো খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ, যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তরমুজ, পেয়ারা, আপেল, কমলা, কলা, পেঁপে, বেদানা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
আরও পড়ুন:
ধূমপান নৈব নৈব চ
শুধুমাত্র খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে না, আরও কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন। ধূমপানের অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করতে হবে। কারণ, ধূমপান কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা পরিমিত মাত্রাতেই করতে হবে।
শরীরচর্চা
স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি রোজ শারীরচর্চা করা উচিত। বাড়িতে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ়, যোগব্যায়াম, হাঁটা ইত্যাদি কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খানিকটা সময় যোগাসন ও ধ্যানের জন্য বরাদ্দ রাখুন, এতে মানসিক চাপও কমবে।
মন ভাল রাখুন
মানসিক চাপ বাড়লেও কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় শরীরে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে খানিকটা সময় যোগাসন ও ধ্যানের জন্য বরাদ্দ রাখুন। নিয়ম করে এই কাজ করলে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হওয়া যায়।