অ্যাসিডিটি কমাতে ঘরোয়া টোটকায় উল্টে ক্ষতি হচ্ছে না তো? ছবি: সংগৃহীত
অ্যাসিডিটির সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। আর এই সমস্যা কমাতে অ্যালোপ্যাথি-হোমিওপ্যাথি ছাড়াও ‘টোটকাপ্যাথি’ প্রয়োগ করেন অনেকেই। কিন্তু এই সব টোটকা ক্ষেত্রবিশেষে স্বস্তি দিলেও কিছু ক্ষেত্রে হতে পারে হিতে বিপরীত।
১। বেকিং সোডা: অনেকেই অ্যাসিড কমানোর চটজলদি সমাধান হিসেবে জলে খাবার সোডা মিশিয়ে পান করেন। যেহেতু বেকিং সোডা ক্ষারীয়, তাই এটি অম্লতা কমাতে সাহায্য করতে পারে বটে। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় বেকিং সোডা খাওয়া নিরাপদ নাও হতে পারে। বেকিং সোডাতে সোডিয়াম বেশি থাকে, বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এই অতিরিক্ত সোডিয়াম নানা ধরনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের উচ্চ-রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাঁদের বেকিং সোডা খাওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
২। চিউয়িং গাম: কারও কারও মতে, মুখের লালা সামান্য ক্ষারীয়, তাই খাওয়ার পরে চিউয়িং গাম চিবিয়ে নিলে লালাগ্রন্থি উদ্দীপিত হয় ও লালাক্ষরণ বেড়ে যায়, যা মুখ এবং গলার অম্লতা কমাতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু বিষয়টি আদৌ কতটা সত্যি, তা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ রয়েছে। উল্টে দাঁতের সমস্যা থাকলে চিউয়িং গামে বেড়ে যেতে পারে সমস্যা।
৩। আদা: বমি বমি ভাব কিংবা গলা-মুখ টকটক লাগার মতো সমস্যা কমাতে আদা খান অনেকেই। তবে বুকজ্বালার লক্ষণগুলি কমাতে আদা কতটা কার্যকর, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে কারও কারও মনে। কিছু কিছু গবেষণা আবার বলছে, অত্যধিক আদা খেলে বেড়ে যেতে পারে বুকজ্বালা।
৪। দুধ: প্রায়শই বুকজ্বালার উপসর্গগুলি কমাতে দুধ খেতে বলেন অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দুধ প্রাথমিক ভাবে কিছুটা স্বস্তি দিলেও এতে থাকা ফ্যাট এবং প্রোটিন শেষ পর্যন্ত বদহজমের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা ‘ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্ট’, তাঁরা দুধ খেলে অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে সমস্যা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy