রজোনিবৃত্তি পর্বে ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ কমে যায় মহিলাদের, ফলে ওই সময়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ‘ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন’ বা ডব্লিউএস এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর যৌথ সমীক্ষা বলছে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এক বার স্ট্রোক হলে অনেকেরই পক্ষঘাতগ্রস্ত অবস্থা হয়ে যায়। রোজের কিছু অভ্যাস এই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস। পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলাদের ডায়েটের ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। কোন কোন খাবার শরীরের জন্য ভাল, আর কোনগুলিকে বাতিলের তালিকায় রাখবেন তার একটা তালিকা তৈরি করা জরুরি।
কোন কোন খাবার একেবারেই খাবেন না?
রেড মিট
রগরগে করে রান্না করা পাঁঠার মাংস দেখলেই জিভে জল এসে যায়। অনেকের বাড়িতে আজও প্রতি রবিবার কষিয়ে পাঁঠার মাংস রান্না হয়। রেড মিট প্রায়ই খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে। আর এতেই হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়বে।
প্যাকেটজাত খাবার
যে কোনও প্যাকেটজাত খাবার সংরক্ষণের জন্য তাতে বেশিমাত্রায় নুন ও রাসায়নিকের ব্যবহার হয়। এই সব রাসায়নিক শরীরের জন্য বিষ। তা ছাড়া বেশিমাত্রায় নুন রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়, যা ধমনী, মস্তিষ্ক ও হৃদ্যন্ত্রের ক্ষতি করে।
বেশি চিনি দেওয়া পানীয় খেলেই বিপদ
নরম পানীয় কে না পছন্দ করেন? চিকিৎসকেরা বলছেন, নরম পানীয়, প্যাকেটজাত হেলথ ড্রিঙ্কসে এত পরিমাণ চিনি থাকে, যা রক্তে শর্করা ও কোলেস্টরল দুই-ই বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে স্ট্রোকের মতো প্রাণঘাতী অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। সুস্থ থাকতে হলে, বেশি চিনি দেওয়া খাবার ও পানীয়ের লোভ ছাড়তেই হবে।
আরও পড়ুন:
অ্যালকোহলের নেশা
বেশি অ্য়ালকোহল মানেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়বে। তার থেকে নানা রোগ দেখা দিতে থাকবে। রক্তে লিপিডের মাত্রা স্বাভাবিকের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেলে তা মস্তিষ্কের রক্তনালির ভিতর জমা হতে পারে। তখনই স্ট্রোকের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে।