হৃদ্রোগ থাকলে কী ভাবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখবেন? ছবি: সংগৃহীত।
কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। অনেকের ধারণা, চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেলেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। সব ক্ষেত্রে এ ধারণা ঠিক নয়। আসলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে কি না, তা নির্ভর করে প্রত্যেকের শরীরের বিপাকহারের উপর। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা রক্তবাহের মধ্যে জমা হতে থাকে। রক্তবাহগুলিকে সরু ও শক্ত করে ফেলে। তাই রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে রক্তচাপ বাড়ে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। ছবি: সংগৃহীত।
হৃদ্রোগীদের কোলেস্টেরল সম্পর্কে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে হৃদ্রোগীদের ক্ষেত্রে বড় বিপদ যে কোনও সময়ে আসতে পারে, তাই সতর্ক হওয়া জরুরি। এ বিষয় বি এম বিড়লা হার্ট রিসার্চ সেন্টারের কনসালটেন্ট ইন্টারভেনশনাল কার্ডিয়োলজিস্ট চিকিৎসক অশোক মালপানি বললেন, ‘‘দীর্ঘ কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদ্যন্ত্রের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশ হৃদ্রোগীরা কোলেস্টেরলের বিষয়ে সতর্ক। রোগীদের ভাল ও খারাপ কোলেস্টেরলের বিষয়ে আরও বেশি করে সতর্ক থাকতে হবে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে চাইলে সবার আগে কোলেস্টেরলকে জব্দ করতে হবে।’’
আদৌ কি শরীরে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির লক্ষণ ধরা পড়ে?
চিকিৎসকের মতে, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বিভিন্ন রকম উপসর্গ দেখে কোলেস্টেরল বেড়েছে কি না তা বলা সম্ভব নয়। কোনও রকম লক্ষণ ছাড়াই চুপিসাড়ে এই রোগ হানা দেয় শরীরে। তাই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে হৃদ্রোগীদের নিয়মিত রক্তপরীক্ষা করে কোলেস্টেরলের মাত্রা যাচাই করে দেখতে হবে। শরীরে কোনও উপসর্গ নেই ভেবে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে হৃদ্রোগ এড়ানো যাবে না।
খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণে রেখেই কি কোলেস্টেরল বাগে রাখা সম্ভব?
না, কেবল খাওয়াদাওয়ায় রাশ টেনেই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি নিয়ম করে শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক অবসাদ থেকে দূরে থাকা, নিয়ম করে রক্তপরীক্ষা করে কোলেস্টেরলের মাত্রা যাচাই করলে তবেই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy